জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তালাক কেবল স্বামীর অধিকার।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِذَا طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ اَجَلَہُنَّ فَاَمۡسِکُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ سَرِّحُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ ۪ وَ لَا تُمۡسِکُوۡہُنَّ ضِرَارًا لِّتَعۡتَدُوۡا ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَہٗ ؕ وَ لَا تَتَّخِذُوۡۤا اٰیٰتِ اللّٰہِ ہُزُوًا ۫ وَّ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ الۡکِتٰبِ وَ الۡحِکۡمَۃِ یَعِظُکُمۡ بِہٖ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۲۳۱﴾
আর যখন তোমরা স্ত্রীকে তালাক দাও অতঃপর তারা ইদ্দত পূর্তির নিকটবর্তী হয়, তখন তোমরা হয় বিধি অনুযায়ী তাদেরকে রেখে দেবে, অথবা বিধিমত মুক্ত করে দেবে। তাদের ক্ষতি করে সীমালংঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। যে তা করে, সে নিজের প্রতি যুলুম করে। আর তোমরা আল্লাহর বিধানকে ঠাট্টা-বিদ্রুপের বস্তু করো না, এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত ও কিতাব এবং হেকমত যা তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন, যা দ্বারা তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, তা স্মরণ কর। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২৩১)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার ভাইকে ডেকে তালাক নাও।
এটির দ্বারা স্ত্রী তালাকে তাফবিজের ক্ষমতা পায়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৪৬৬)
رجل قال لامرأتہ خذي طلاقک، فقالت: أخذت، یقع الطلاق۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الطلاق / الفصل الثاني في إیقاع الطلاق ۱؍۳۵۹)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার তালাক গ্রহন করো।
স্ত্রী যদি বলে যে গ্রহন করলাম,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
’’ ولو قال اختاری فقالت أنا اختارنفسی طلق ‘‘ ( الھدایۃ : ۲/۳۷۷)
সারমর্মঃ
স্বামী যদি বলে (তালাক সংক্রান্ত) তোমার ইখতিয়ার,বা তোমার ইচ্ছা।
স্ত্রী যদি বলে আমি নিজের নফসের প্রতি ইখতিয়ার করলাম,তাহলে তালাক পতিত হবে।
الدر المختار مع رد المحتار کتاب الطلاق باب تفویض الطلاق ،ج:۳،ص:۳۱۵ و۳۱۶ (طبع سعید) قال لھا اختاری أو أمرک بیدک ینوی تفویض الطلاق ۔۔۔۔أو طلقی نفسک فلھا أن تطلق فی مجلس علمھا بہ مشافھۃ أو اخبارا وان طال ۔۔۔۔ما لم تقم لتبدل مجلسھا حقیقۃ أو حکما بان تعمل ما یقطعہ ۔۔۔۔۔لا تطلق بعدہ أی المجلس ۔۔۔۔الخ۔
সারমর্মঃ
স্বামী যদি বলে (তালাক সংক্রান্ত) তোমার ফায়সালা তোমার হাতে,তোমার ইচ্ছা,,,,
তাহলে স্ত্রীর অধিকার থাকবে সামনা সামনি বা খবর দিয়ে তালাক প্রদানের,,,।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী বলেছে যে ""তুমি সত্যি ডিভোর্স চাইলে আমি বাধা দিবোনা""
এটির দ্বারা আপনি নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছেন।
আপনি যেকোনো মুহুর্তে নিজেকে নিজে তালাক দিলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
আর আপনি যে বাক্য মনে মনে তালাক সংক্রান্ত বলেছেন, যেক্ষেত্রে আপনার মুখ থেকে কান পর্যন্ত আসার মতো আওয়াজ সৃষ্টি হয়নি।
এক্ষেত্রে আপনার কোনকভাবেই তালাক হয়নি।
যদি পূর্ণ আওয়াজ আপনার কানে আসেও,তবুও আপনি যেযব বাক্য ব্যবহার করেছেন,এ জাতীয় স্ত্রীর বাক্য বলার দ্বারা কোনো ছুরতেই তালাক হয়না।
,
তাই আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আপনাদের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হয়নি।