আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আপনাদের হায়েজ নিয়ে ফতোয়াতে দেখেছিলাম হায়েজ শুরু হওয়ার পর ১০ দিনের মধ্যে সাদা ব্যতীত অন্য যে কোনো স্রাব হায়েজ হিসেবে গন্য হবে। আমার কিছু সমস্যার কারণে হায়েজের জন্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেই ওষুধ অনুযায়ী ৭-৮ দিনের মধ্যেই হায়েজ শেষ হওয়ার কথা।ব্লাড এই সময়ের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাদা স্রাব গেলে টিস্যুতে নিলে সম্পুর্ন সাদা দেখা যায় না। তাই হায়েজ ভেবে ১০ দিন পর্যন্তই অপেক্ষা করি। উল্লেখ্য হায়েজ ব্যতীত অন্য সময়ে সাদা স্রাব গেলে এমনিতে দেখতে সাদা লাগে তবে টিস্যুতে নিলে ক্লিয়ার সাদা লাগে না। এখন আমি হায়েজ কতদিন ধরবো?
আজ ফজরের সময় বাদামী স্রাব গিয়েছে। হায়েজের সময় যেমন যায় তেমন। উল্লেখ্য দুই হায়েজের মধ্যবর্তী সময়ে ১৫ দিনের যে পবিত্রতা থাকে তা এখনও পুর্ন হয়নি। আরো কিছুদিন বাকী আছে ১৫ দিন হতে। ওষুধ অনুযায়ী এখনো ৬-৭ দিন বাকী আছে হায়েজ শুরু হতে। আজ রাতে ওষুধ খাওয়ার পর দেখা যাবে এই স্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। এই স্রাব টা কি হিসেবে ধরবো? এর জন্য কি ফরজ গোসল কর‍তে হবে? আমি ফজরের সলাত আদায় করেছিলাম স্রাব দেখার পরেও। এই সলাত কি আবার পড়তে হবে?

১০ তম দিনের গণনা কিভাবে হবে? রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে এরপর ফরজ গোসল করে সলাত আদায় করতে হবে? যেহেতু ১২টার পর নতুন দিন শুরু হয়।

# অনেক সময় ফরজ সলাতের ৩য়/৪র্থ রাকাতে ভুলে সুরা মিলানোর জন্য বিসমিল্লাহ পড়ে ফেলি পরে মনে হয় সুরা মিলাতে হবে না তখন রুকুতে চলে যাই। অনেক সময় মাথায় থাকে একটা সুরা পড়বো কিন্তু পড়ার সময় ভিন্ন সুরা শুরু করতে যাই তারপর সাথে সাথেই মাথায় থাকা সুরা পড়া শুরু করি। যেমন চিন্তা করি কাফিরুন পড়বো কিন্তু মুখ দিয়ে কাওসার এর ইন্না র ইন আসে তখনই আবার কাফিরুন পড়া শুরু করি। আবার অনেক সময় রুকু/সিজদার তাসবীহ তে ভুলে অন্য দুয়ার একটি শব্দ এসে পড়ে যেমন আল্লহুম্মা তখনই আবার তাড়াতাড়ি করে রুকু/সিজদার তাসবিহ পড়ি। অনেক সময় সলাতে সুরা/দুয়া পড়ার সময় মাখরাজ সঠিক স্থান থেকে উচ্চারিত হয় না আগের পড়া এসে পড়ে তখন আবার ঠিক করে ফেলি। এসব কারনে কি ওয়াজিব তরক হয়? সাহু সিজদা দিতে হবে?
#হায়েজরত অবস্থায় মশক ক্লাসে পড়া দিতে গেলে ভেঙে ভেঙে দিতে বলে। কুরআন থেকে ইজারা করানোর সময়েও এভাবে পড়া দেই। এভাবে পড়ার কারনে কি গুনাহগার হবো? আবার ওই সময় যদি পড়া না দেই তাহলে পড়া শুদ্ধ হলো কিনা বা পড়াটা মুখস্ত করা এগুলোতো সম্ভব হয় না। তাই ভেঙে ভেঙে পড়া দেওয়া যাবে? যেমন একটা শব্দ বলে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আরেকটি শব্দ।  আমি জানি সুরা ফাতিহা এবং ৪ কুল দুয়া হিসেবে পড়া যায়। অন্য সুরা মুখস্ত থাকলেও কি দুয়া হিসেবে পড়া যায়? যেমন সুরা নাসর। হায়েজরত অবস্থায় এই সুরাটা মুখস্থ বলা যাবে? হানাফি ফিকহ অনুযায়ী এর বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


★হায়েজ সংক্রান্ত প্রশ্নঃ-

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেদিন থেকে সাদা স্রাব এসেছিলো,সেদিন থেকে আপনি হায়েজ মুক্ত।
আপনার উপর সেই ওয়াক্ত থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।

★উল্লেখ্য যে সাদা স্রাব টিস্যুতে নিলে সম্পুর্ন সাদা দেখা না গেলেও সেটি সাদা স্রাব হিসেবেই গন্য হবে।

★যে দিন যে সময়ে হায়েজ আসবে,সেই সময় থেকেই ১০ দিনের গণনা শুরু হবে।
যেমন কাহারো এক তারিখে দুপুর ১২-০০ টায় হায়েজ আসলো,তার এগারো তারিখের সকাল ১১-৫৯ টায় ১০ দিন পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে। 

রাত বারোটার ধর্তব্য নেই। 

★নামাজ সংক্রান্ত প্রশ্নঃ- 

প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
,

হায়েজরত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতঃ-

কিছু ইসলামী স্কলারগন ভেঙ্গে ভেঙ্গে তিলাওয়াত করার অনুমতি প্রদান করেছেন।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ভেঙ্গে ভেঙ্গে তিলাওয়াত করতে পারবেন। 
সেই ভাবে পড়া শোনাতে পারবেন। 
,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত  জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
উস্তাদ একটি প্রশ্নের উত্তর বাকি রয়েছে।
আজ সকালে যেই স্রাব টা দেখলাম এটার বিধাণ কি হবে? সারাদিনে আর দেখিনি। মাঝে হালকা হলুদ বর্নের একটু দেখা গিয়েছিলো এরপর আর কিছু যায়নি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 152 views
...