উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) এই ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে শার্ট প্যান্ট যেহেতু বিধর্মীদের পোশাকের সাথে সাদৃশ্য রাখে,তাই তা পড়া মাকরুহ।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে (যেমন অফিস ইত্যাদিতে এটাই পরিধান করতে হবে, বা কোনো চাকুরী করার ক্ষেত্রে এই পোশাকই পড়তে হবে,ইত্যাদি) এটা পরিধান করা জায়েজ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৫৬ )
۔ (فتاویٰ محمودیہ ۱۱؍۱۰۷ میرٹھ)
★অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেন, এটা পরিধান করা মাকরুহ নয়।
কারন শরীয়তের বিধান হলো যে পোশাক ইহুদী খৃষ্টানদের কালচার ও ধর্মীয় পোশাক হিসেবে বিবেচ্য ও প্রসিদ্ধ। তা পরিধান করা জায়েজ নয়। যেহেতু শার্ট প্যান্ট এটি ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মীয় পোশাক নয়। বরং এটি এখন মুসলমানরাও ব্যাপকহারে পরিধান করে থাকে, তাই এটা পরিধান করা হারাম নয়। যেহেতু এটি ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মীয় পোশাক নয়। তবে পরিধান না করা উত্তম।
,
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
(০২) ২য় মতের উলামায়ে কেরামদের মত অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে, কোন ব্যক্তি যদি ইসলামিক ড্রেসকোড মেনে অর্থাৎ ঢিলেঢালা শার্ট-প্যান্ট পড়লো,টাখনুর উপরে প্যান্ট পরিধান করলো,তার শার্ট-প্যান্ট পরিধানের দ্বারা তার শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশিত হলো না এবং অন্যান্য ইসলামিক নিয়মাবলী মেনে শার্ট প্যান্ট পরিধান করলো তাহলে সুন্নাহ পালন হবে।
.
★উলামায়ে কেরামদের মাঝে যেহেতু মতবিরোধ রয়েছে, তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শার্ট প্যান্ট না পড়াই উত্তম মনে করছি।