আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
229 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (19 points)
আমি আলহামদুলিল্লাহ আমার নিকটাত্মীয় মাহরামের নিজস্ব সফটওয়্যার কোম্পানিতে বাসা থেকে কাজ করি। নিয়ম হলো আমাকে আমার কাজের ঘন্টা হিসাব রাখতে হবে, সে অনুপাতে আমাকে বেতন দেওয়া হবে।

কিন্তু সমস্যা হলো বাসার পরিবেশে আমি রুটিন করে কাজে বসতে পারিনা। প্রায় সময়েই কাজের মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি। অনেকদিনই ঘন্টা পুরো হয়না। সবসময় ঘণ্টার হিসাব রাখতেও খেয়াল থাকে না, যেহেতু একটানা কাজ করতে পারিনা হিসাব রাখাটা বাড়তি চাপের মত লাগে। এভাবে হিসাবটা রাখা হয়না। তবে জরুরি হলে কখনো রাত জেগে কখনো ওভারটাইম করি। তারপর তাঁরা আমাকে  নিজস্ব হিসেবে একটা বেতন দিয়ে দেন, যা অনেক সময় আমার কাছে বেশি মনে হয়।

এ ব্যাপারে ঐ আত্মীয়কে বললে তিনি বললেন - যেহেতু ঘণ্টার হিসেব পাওয়া যায়নি সাধারণ নিয়ম হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তোমাকে যা কাজ দেওয়া হয়েছে তা তো করেছ। আবার বললেন, ওসব তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা বরং কাজে ফোকাস করো। অবশ্য অস্পষ্ট দুটো হিসেবের কথা বলেছেন(আমার কাছে অস্পষ্ট), ঐ দুটো হিসেবের মধ্যে  কর্মচারীকে বড় অংকটা দেওয়া হয়।

আমি তবু দ্বিধান্বিত। আমার প্রশ্ন এভাবে প্রদত্ত বেতন কি নাজায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আপনাকে যদি তারা নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে দিয়ে থাকে,যে আপনাকে প্রতিদিন এতক্ষন সময় কাজ করতে হবে,তাহলে আপনার বেতন এত টাকা,ইত্যাদি, তাহলে আপনাকে অবশ্যই দৈনন্দিন সেই টাইম পূরণ করতে হবে।
চাই সেটা অভারটাইমে কাজ করেই হোক,বা অন্য যেকোনো ভাবেই হোক।
 
,
আর যদি তারা আপনাকে শুধুমাত্র কাজের জন্য নিয়ে থাকে,কোনো সময় নির্দিষ্ট না করে থাকে,তাহলে আপনি নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাবেন।
    
আপনার উক্ত পেশা যদি হালাল হয়,বেতন যদি হালাল হয়,তাহলে এই ছুরতে আপনি উল্লেখিত বেতন নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।   

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ  
یصح العقد علی مدۃ معلومۃ أي مدۃ کانت قصرت المدۃ کالیوم ونحوہ أو طالت کالسنین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۴۵۱ زکریا)
যার সারমর্ম হলো  মেয়াদ নির্ধারন করে বৈধ যেকোনো চাকুরী করা জায়েজ আছে,,,,,।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
জাযাকাল্লহু খাইরান।
আমার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল আমি কত ঘণ্টা সময় দিতে পারবো। কিন্তু কোন বেতন নির্দিষ্ট করা হয়নি, বরং বলা হয়েছিল ঘণ্টাপ্রতি হিসেব করে বেতন দেওয়া হবে। আমি তাই নিশ্চিত ছিলাম।
কিন্তু যখন ঘণ্টার হিসেব রাখতাম তখনও আমাকে রেট যত বলা হয়েছিল সে অনুপাতে বেশি মনে হত। কখনো হিসেব কম করে লিখতাম, ক্বাযা ঘণ্টা পূরণের জন্য, তখন আমাকে বলা হতো যেন সূক্ষ্ম হিসাব না করি। 
আর আমাকে ঘণ্টা নিয়ে কোন চাপ দেওয়া হয়না। শুধু কাজের কথাই জানতে চাওয়া হয়।

ঘণ্টা পুরো না করে অনেক মাস পার হয়ে গেছে। ওভারটাইম করেও ওগুলো পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় কী করব?
জাযাকাল্লহু কাসীরা। আবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...