بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ
ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ
ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ
ﻣﺴﻠﻢ : ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস
করে, এটা
কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ
পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে
যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত
থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ
বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু আপনার স্বামী কসম করে
বলেছে যে, তিনি তালাকের নিয়তে উক্ত হুম
বা হ্যা শব্দ বলেনি বিধায় আপনার উপর তালাক পতিত হবে না এবং আপনার প্রশ্নের উত্তরে আপনার স্বামী আপনাকে স্পষ্ট
ভাবে তালাক দেওয়ার কথা না বলাই এ ক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবে না । এ নিয়ে আপনাদের
মধ্যে ওয়াসওয়াসা এসেছে, যখনি এমন
কথা মনে হবে, তখনই আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকার জন্য, পুনরায় আমল ও ইবাদতের জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য নিম্নে বর্ণিত ৪টি আমল করবেন,
১.তাউজ তথা আউবিল্লাহি মিনাশ-শায়ত্বানির রাজিম (اَعُوْذُ
بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْم) পড়ার মাধ্যমে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থকে হেফাজত থাকা।
২. সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস পাঠ করা।
৩. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা। বিশেষ করে এ জিকির করা-
اَللَّهُمَّ
مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
অর্থ : হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী আল্লাহ! আমাদের
অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে পরিবর্তন কর।’ (মুসলিম, মিশকাত)
يَا
مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّت قَلْبِىْ عَلَى دِيْنِكَ
অর্থ : হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে
তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
৪.মনে জাগ্রত হওয়া কুচিন্তার দিকে ধ্যান বা খেয়াল না দিয়ে
বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া-
رَبِّ
اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيّ، إِنّكَ أَنْتَ التّوّابُ الرّحِيمُ
(মুসনাদে
আহমদ, আবু
দাউদ)
অর্থ : হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা কবুল
করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী, দয়াময়।’
উল্লেখিত ৪ কাজ যথাযথভাবে করতে পারলেই মনের মধ্যে
দেখা দেয়া দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকা সহজ। আর তাতেই মনের মধ্যে
ইবাদত-বন্দেগির প্রবল আগ্রহ তৈরি হবে। ওয়াসওয়াসা বা কুচিন্তা দূর করতেই উল্লেখিত
আমল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।