জবাবঃ-
প্রত্যেক স্কুল ও কলেজ ভার্সিটিতে নারী পুরুষ উভয়ের পৃথক পৃথক নামায আদায়ের স্থান থাকা বাঞ্চণীয়।এর জন্য ছাত্র সমাজ প্রয়োজনে সমস্ত মুসলমানের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ওয়াজিব।আমরা আন্দোলনের কথা এজন্য বলছি যেহেতু আমাদের দেশে খলিফার শাসন নেই।এজন্যই ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্টা করা মুসলমানদের উপর ফরয।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/356
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)
নামাযকে তার সঠিক সময়ে আদায় করা ফরয।অন্য কিছুর জন্য নামাযকে পরিত্যাগ করা যাবে না।সুতরাং স্কুলে নামাযের বিরতি না থাকলে সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে বা আন্দোলনের মাধ্যমে নামাযের বিরতি নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।নতুবা স্কুল বদল করে এমন কোথাও ভর্তি হতে হবে,যেখানে ঠিকমত নামায আদায় করা যায়।যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে স্কুলের কোনো এক কোনে সংক্ষেপে নামায আদায় করে নিতে হবে।নামাযকে জমা রাখা জায়েয হবে না।কেননা কার কখন মৃত্যু চলে আসে বলা তো যায় না।তাই হয়তো কারো এক ওয়াক্ত নামায রয়ে গেছে,এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলো।
যেকোনো পরিস্থিতে আপনাকে নামায পড়তেই হবে।ইসলাম যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধরত অবস্থায় নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সূরা নিসায় আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُواْ مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَن يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُواْ لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِينًا
যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَآئِفَةٌ مِّنْهُم مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُواْ أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُواْ فَلْيَكُونُواْ مِن وَرَآئِكُمْ وَلْتَأْتِ طَآئِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّواْ فَلْيُصَلُّواْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُواْ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَاحِدَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن كَانَ بِكُمْ أَذًى مِّن مَّطَرٍ أَوْ كُنتُم مَّرْضَى أَن تَضَعُواْ أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُواْ حِذْرَكُمْ إِنَّ اللّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায় যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلاَةَ فَاذْكُرُواْ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
(সূরা নিসা-১০১-১০২-১০৩)
যদি কারো হঠাৎ জোহরের নামায মিছ হয়ে যায়,তাহলে সে জোহরের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত জোহরের নামাযকে আদায় হিসেবে পড়তে পারবে।
নতুবা জোহরের নামাযকে কা'যা পড়তে হবে।কা'যা বলতে আসরের ওয়াক্তে আসরের পূর্বে কা'যার নিয়তে প্রথমে জোহর পড়বে,তারপর আসরের নামাযকে আদায় করবে।
(২)পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় তথা হিন্দুওয়ানি সংস্কৃতি।যা অবশ্যই বর্জনীয়।তবে নিজ বাবা মা বা কোনো মুত্তাকি আল্লাহ ওয়ালার হাতে বা পায়ে চুমু খাওয়া যাবে।এটা জায়েয রয়েছে।জাওয়াহিরুল ফিকহ।
(৩)বালেগা মহিলা গায়রে মাহরামকে কখনো সালাম দিবে না।তার জন্য সালাম দেয়া জায়েয হবে না।তবে মহিলাকে নিচু আওয়াজে সালাম দিতে পারবে,যাতে পরপুরুষ গলার আওয়াজ না শুনে।নতুবা মহিলাকেও সালাম দিবে না।হ্যা মুসাফাহা করতে পারবে।তবে কুলাকুলি করতে পারবে না।কিন্তু ঘরে সবকিছুই পারবে।