ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1619 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীসের অংশ
( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
'এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।বিধায় আমি এ দিন রোযা রাখি।'
এ হাদীস দ্বারা জন্ম তারিখে রোযা রাখার উপর প্রমাণ পেশ কর যাবেনা।কেননা এ হাদীস রোযা রাখার উপর প্রমাণ করে না, বরং এখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের কারণে সোমবার দিনের ফযিলতকে বর্ণনা করা হচ্ছে।যদি বাস্তবেই জন্মতারিখে রোযা রাখার কোনো নিয়ম থাকতো, তাহলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ সেটাকে পরিস্কার করে বর্ণনা করে দিতেন।এবং সাহাবায়ে কেরাম সেটাকে আ'মলে নিয়ে আসতেন।কেননা সাহেবায়ে কেরামগনের চেয়ে নেকির প্রতি বেশী অগ্রসরমান আর কেউ হতে পারে না।তারা অবশ্যই আ'মলে নিয়ে আসতেন।
কিন্তু যেহেতু হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি হেকমতের একটি হেকমত হলো জন্মতারিখ, তাই কেউ যদি সে তারিখে এই হেকমতের সাথে অন্য কোনো হেকমতকে মিলিয়ে রোযা রেখে নেয়,তাহলে সেটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।যেমন,আইয়্যামের বীযের রোযার নিয়তকে সামনে রেখে রোযা রাখা।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।যেহেতু এদিনে নফল রোযা রাখা হয়ে গেছে, তাই ভাঙ্গার কোনো প্রয়োজন নাই।তবে এটাকে কোনো নিয়ম বানানো যাবে না।