আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম

যদি কোন কোম্পানিকে একটি পণ্য তারা যে দামে ক্রয় করে তার চেয়ে কম দামে কিনে দেয়ার চুক্তি করা হয়। ধরুন একটি কোম্পানি A পণ্যটি ক্রয় করে ১০ টাকায়। আমি ৯ টাকায় এনে দিলাম। কিন্তু বিক্রেতা থেকে আমি কিনলাম ৬ টাকায় এবং কোম্পানিকে দিলাম ৯ টাকায়।  বাকি টাকা আমার নেয়া হালাল হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মানব জাতির ঐতিহ্যগত একটি পেশা হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। পেশার বিচারে ব্যবসার গুরুত্ব সর্বাধিক। এটি একটি ইবাদতও বটে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে ব্যবসা করতেন এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সদস্য সহ অনেক ছাহাবী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে মূলত মুসলিম বণিকদের মাধ্যমে এদেশে ইসলামের শুভাগমন হয়েছিল। হালাল ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, 
أَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
 ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। 
 অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে,
 يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ
  ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ’ (নিসা ৪/২৯)।
উল্লিখিত আয়াতে لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ (তোমরা পরস্পরের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না) ‘অন্যায়ভাবে’ বলতে এখানে এমন সব পদ্ধতির কথা বুঝানো হয়েছে, যা সত্য ও ন্যায়নীতি বিরোধী এবং নৈতিক ও শরী‘আতের দৃষ্টিতে অবৈধ। লেনদেন অর্থ হচ্ছে পরস্পরের মধ্যে স্বার্থ ও মুনাফার বিনিময় করা। যেমন ব্যবসা, শিল্প ও কারিগরী ইত্যাদি ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সেখানে একজন অন্য জনের প্রয়োজন সরবরাহ করার জন্য পরিশ্রম করে এবং তার বিনিময় দান করে।
 তাছাড়া আয়াতে أَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنكُمْ (পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য) বাক্যটি সংযুক্ত করে বলে দেয়া হয়েছে যে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসার নামে সূদ, জুয়া, ধোঁকা-প্রতারণা ইত্যাদির আশ্রয় নিয়ে অন্যের সম্পদ হস্তগত করা হয়, সেসব পন্থায় সম্পদ অর্জন বৈধ ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তা হারাম ও বাতিল পন্থা। তেমনি যদি স্বাভাবিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও লেনদেনের মধ্যে উভয় পক্ষের আন্তরিক সন্তুষ্টি না থাকে, তবে সেরূপ ক্রয়-বিক্রয়ও বাতিল এবং হারাম।
 প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
 যদি আপনি বিক্রেতার কাছ থেকে ৬ টাকা মূল্যে ক্রয় করে তা কোম্পানির কাছে ৯ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন তবে তা আপনার জন্য জায়েয আছে। কিন্তু কোম্পানি যদি আপনাকে যত কম মূল্যে কিনতে পারা যায় বলে নির্দেশ করে সে ক্ষেত্রে তা জায়েয হবে না। সবচেয়ে উত্তম হলো কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কে অবগত করা যে আমি প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে লেনদেন করতে চাই, যদি তারা সম্মতি দেন তাহলে তা জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...