উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কোন মুসলিমের মধ্যে নামাজ না পড়া, উপহাস করা ইত্যাদি দেখতে পেলে তাকে মুশরিক বা কাফের বলে ডাকা যাবে না।
আল্লাহ বলেন,
ولا تلمزوا انفسكم ولا تناولوا بالالقاب
তোমরা কাউকে মন্দ লকবে ডেকো না’… (হুজুরাত ৪৯/১১)।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, এর অর্থ হ’ল, কাউকে হে মুনাফিক, হে ফাসেক ইত্যাদি বলে ডাকা যাবে না’ (বায়হাক্বী শু‘আব হা/৬৭৪৮, কুরতুবী, তাফসীর হুজুরাত ১১ আয়াত)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (মুসলিম হা/৬০; বুখারী হা/৬১০৩)।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ (বুখারী হা/৬০৪৭; মিশকাত হা/৩৪১০)।
★তবে কাহারো ভিতর ইসলাম বিদ্বেষ মুলক কোনো আচরন থাকলে,বা তাকে এরূপ কাজ করতে দেখলে, তোমার এ কাজটি কুফরী পর্যায়ভুক্ত বা তোমার মধ্যে মুনাফিকের এই আলামতটা দেখা যাচ্ছে এরূপ বলা যেতে পারে।
,
সুতরাং আপনার তাকে কাফের বলা ঠিক হয়নি, এর জন্য আল্লাহর কাছে আপনাকে খালেছ দিলে ক্ষমা চাইতে হবে।
ওয়াদা করতে হবে যে জীবনেও এমন কথা আমি বলবোনা।
আর যদি এই কথা সেই ব্যাক্তিও শুনে থাকে,তাহলে তার কাছ থেকেও ক্ষমা চাইবেন।