আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
জনাব মুফতি সাহেব আসসালামুআলাইকুম ।

পূর্বে আপানাদের এখান থেকে এবং দুইজন মুফতি থেকে ফতুয়া নেওয়া হইছে খালওয়াত হয় নাই এবং ১তালাক পতিত হইছে বলা হইছে । আমার ও মন বলে খালওয়াত হয় নাই । এমতাবস্থায় শয়তান বা আমার মন আমাকে নাড়া দেয় আমার খালওয়াত হইছে, তালাক হয়ে গেছে এসব চিন্তা খালি মাথায় আসে জীবনটাই কেমন জানি অন্য  রকম হয়ে গেছে । আবার আমার স্ত্রীকে ও কথা দিছি আমি তোমাকে বিয়ে করবো কিন্তু আমার মন কোন দিক থেকেই শান্তি নাই ।ওকে বিয়ে করলেও মন শান্তি নাই আবার না করলেও শান্তি নাই আমার । আমার মনে খালি নাড়া দেয় আমি কোন কিছু বাদ দিচ্ছি কিন্তু আমি যতটুকু মনে পড়ে আমি কিছুই বাদ দেই নি ।

 মুফতি সাহেব কে জানালে উনি বলে কোন কিছু জেনো মাথায় না আনি আর কোন প্রশ্ন থাকলে ও যেন বাদ দেই  ।কোনো প্রশ্ন ও যেনো না করি আর কাউকে ।আমি এখন কি করতাম আমাকে একটা উফায় দেন । কি করলে ভালো হবে ?

১.কোনো প্রশ্ন মনে আসলেও আর জিজ্ঞাস করবো না কাউকে  এড়িয়ে চলবো যাই আসুক মনে?আলোচনা করবো না আর ?

২।আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যেতাম ?

৩।আমার স্ত্রীকে কি পুনরায় বিয়ে করা উচিত হবে যদিও মন শান্তি নাই আবার না করলেও শান্তি নাই ।কথা ও দিয়েছি বিয়ে করবো । কি করা উচিত এখন আমার ।

অন্য কাউকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করলে মনটা হালকা হয়ে যায় । ভাল লাগে । আবার আমার স্ত্রীকে নিয়ে চিন্তা করলে যাবতীয় টেনশান কাজ করে তালাক, খালওয়াত সব কাজ করে ।কি বুঝে নিতাম এসব এর মাঝে ?

 তার মানে কি শয়তান আমাদেরকে একসাথে হতে দিচ্ছেনা এইটা বুঝে নিতাম ? দয়া করে আমার কি করা উচিত আমাকে সাহায্য করেন ।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



(০১)
এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা,মনেও কোনো প্রশ্ন আসতে দিবেননা।
এড়িয়ে চলবেন।

(০২)
হ্যাঁ আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যান।
,
(০৩)
যদি আপনার সেই স্ত্রী আপনার কাছে ফিরিয়ে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হোন,তাহলে তাকে নতুন করে বিবাহ করাই উচিত।
সকল প্রকারের ওয়াসওয়াসাকে উপেক্ষা করে বিবাহ করে ফেলুন।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন,আমিন।    

আপনি ভবিষ্যতে স্ত্রীকে আর তালাক দিবেননা।
তালাকের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর জীবনে কত কঠিন অবস্থা চলে,তাহা এতোদিনে অনেকটাই আপনার বোধগম্য হয়েছে। 

তালাক খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সকল প্রকারের ওয়াসওয়াসাকে উপেক্ষা করে বিবাহ করে ফেলুন।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন,আমিন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আলহামদুলিল্লাহ ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...