আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
আসসালামুআলাইকুম।

আমি নিশ্চিত ছিলাম না আমার সপ্নদোষ হয়েছে কি না।আমি ফজর এবং যোহরের নামাজ আদায় করি।পরে যখন গোসল করি তখন লজ্জাস্থানে দাগ দেখি কিন্তু মাঝে মাঝে প্রসাবের কারণেও এমন দাগ হয় তাই ভেবে পাত্তা দেই নাই।পরে ফরজ গোসল করি।এরপর যথারীতি আসর,মাগরিব, এশা, বিতির পড়ি।পরে যখন ঘুমাবো তখন দেখি আমি যে প্যান্ট পড়েছিলাম তাতে নাপাকীর দাগ।তখন বুঝতে পারি আমার আসলেই সপ্নদোষ হয়েছিল।এখন
১)আমার এই ফজর এবং জোহর কি কাযা করতে হবে?

২) আমিতো নিশ্চিত ছিলাম না আমার আসলেই সপ্নদোষ হয়েছে কি না তাই সব নামাজ আদায় করেছি এখন ফজর এবং জোহর যেহেতু বাদ পড়েছে আর আমি তারপর আসর পরেছি তাহলে তো ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় নি।এখন আমাকে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করার জন্য কি ৫ওয়াক্তের নামাজই পুনরায় পড়তে হবে?নাকি না জানার কারণে শুধু ওই দুই ওয়াক্তের কাযা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হযরত উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )

তিনি বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?

রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)

হাদীসে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

১.আপনি যেহেতু নিশ্চিত হয়েছেন যে, আপনার স্বপ্নদোষ হয়েছে বিধায় আপনার উপর ফজর ও যোহরের নামাজ ক্বাযা করা ওয়াজিব।

২.আপনি যদি সাহেবে তারতীব না হন,তথা আপনার জিম্মায় ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা আছে , তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর আসর , মাগরীব ও এশার নামাজ কাযা করা ওয়াজিব নয়। সাহেবে তারতীবের হুকুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:

https://ifatwa.info/5463/

https://www.ifatwa.info/968


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
...