بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
হযরত
উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ
سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ
أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ
هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )
তিনি
বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর
স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?
রাসূলুল্লাহ
সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার
উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)
হাদীসে
এসেছে-
يَا عَمَّارُ
إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ
وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার
বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে
হয়, যথা-১-পায়খানা,
২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত,
৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১.আপনি
যেহেতু নিশ্চিত হয়েছেন যে, আপনার স্বপ্নদোষ
হয়েছে বিধায় আপনার উপর ফজর ও যোহরের নামাজ ক্বাযা করা ওয়াজিব।
২.আপনি
যদি সাহেবে তারতীব না হন,তথা আপনার
জিম্মায় ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা আছে , তাহলে এমতাবস্থায়
আপনার উপর আসর , মাগরীব ও এশার নামাজ কাযা করা ওয়াজিব নয়। সাহেবে
তারতীবের হুকুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://ifatwa.info/5463/
https://www.ifatwa.info/968