ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/471 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)
তবে কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের এক রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় পায়,এবং সে নামাযে দাড়িয়ে যায় অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং অন্যান্য তিন মাযহাবে ফুকাহায়ে কেরামগণও এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)
সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আছরের নামায হবে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/৩৫;)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
মাগরাবের আকামত হওয়ার পরও আপনি যে, আসরের নামায পড়েছেন, এতেকরে আপনার আসর বা মাগরিবের নামাযে কোনো সমস্যা হবে না, বরং আপনার আসরের নামায আদায় হবেই।
(২)
যেহেতু বিশেষ প্রয়োজনে আপনি মাগরিবের নামাযকে বিলম্ব করেছেন, তাই এতেকরে আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।