ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
কুরআনুল কারীম আল্লাহ
তায়ালার কালাম। তাই তার যথাযথ সম্মান করা চাই। সুতরাং কুরআনুল কারীম তেলাওয়াতের সময়
যথাসম্ভব আদবসহ বসা। আর বসা, দাঁড়ানো, চলমান ও হেলান দেওয়া—সর্বাবস্থায় তিলাওয়াত করার অনুমতি রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا
وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ
وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ
النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে
আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব
তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই,
আমাদিগকে তুমি দোযখের
শাস্তি থেকে বাঁচাও।।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)
রাতে ঘুম পেলে বা ঝিমুনি
এলে তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে নামাজ
পড়ে, ফলে তার জিহ্বায় কোরআন এমনভাবে জড়িয়ে আসে যে সে কী পড়ছে তা টের পায় না, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে।’
(মুসলিম, হাদিস : ১৮৭২; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮২১৪)
অর্থাৎ তার উচিত এমতাবস্থায়
নামাজ না পড়ে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়া, যাতে তার মুখে কোরআন ও অন্য কোনো শব্দের
মিশ্রণ না ঘটে এবং কোরআনের আয়াত এলোমেলো হয়ে না যায়।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্যান্টের সাইডের পকেটে কুরআনটি না রাখাই উত্তম হবে। কারণ
অনেক সময় তার অসম্মান হয়ে যেতে পারে এবং কুরআনটি মাটিতেও লাগতে পারে।