ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মালি জরিমানা অর্থাৎ টাকা বা কোনো কিছু জরিমানা হিসেবে
নেওয়া বৈধ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১০/২০৩.ফাতাওয়ায়ে
মাহমুদিয়্যাহ ১৪/১৩৫.কিফায়াতুল মুফতী ২/১৬৬)
মূল বিধান হচ্ছে–
এক মুসলমানের জন্য
অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ،
وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ
هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ
الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ
مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের
জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম
(পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে
দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي حرۃ الرقاشي عن
عمہ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: لا یحل مال إمرء
مسلم إلا بطیب نفس منہ۔ (مسند أحمد ۵؍۷۲، شعب الإیمان للبیہقي ۲؍۷۶۹، مشکاۃ المصابیح ۲۵۵، مرقاۃ المفاتیح ۳؍۳۵۰)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন কাহারো সন্তুষ্টি চিত্ত ব্যাতিরেকে তার সম্পদ ব্যবহার
হালাল হতে পারেনা।
নাজায়েজ।
والحاصل أن المذہب عدم
التعزیر بأخذ المال۔ (شامي / باب التعزیر، مطلب في التعزیر بأخذ المال ۶؍۱۰۶ زکریا)
সম্পদের মাধ্যমে জরিমানা নেওয়া যাবেনা।
لا یجوز لأحد من
المسلمین أخذ مال أحد بغیر سبب شرعي۔ (شامي / باب التعزیر، مطلب في التعزیر بأخذ
المال ۶؍۱۰۶ زکریا)
শরীয়ত সম্মত কারন ব্যাতিত কাহারো থেকে সম্পদ গ্রহন করা জায়েজ নেই।
সৌদী আরবের
ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, এক গোত্রের কিছু লোক এই মর্মে একমত হয়েছে যে,
যে ব্যক্তি কিছু
কিছু বিষয়ে লিপ্ত হবে তার উপরে কিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করা কি জায়েয হবে?
জবাবে তাঁরা
বললেন: “এ ধরণের পদক্ষেপ নাজায়েয। কেননা এটি এমন লোকদের পক্ষ থেকে আর্থিক জরিমানা
ধার্য করা, যারা আইনগতভাবে (শরিয়ত মোতাবেক) সে
ক্ষমতা রাখে না। বরং এ ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে- বিচার বিভাগ। তাই, এ ধরণের জরিমানা প্রত্যাহার করা কর্তব্য।”[ফাতাওয়াল লাজনাহ্ আদ্ দায়িমা
(১৯/২৫২)] আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের
বিধান অনুযায়ী উক্ত বইয়ের ক্ষতি পূরণ
আপনাকে দিতে হবে। আর তা হলো বইটির বাজার মূল্য । ডাবল মূল্য নয়। তাই ডাবল
মূল্য নেওয়া কর্তৃপক্ষের জন্য জায়েজ হবে না।