ওয়া আলাইকমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5215 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে। কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
নামাযের মধ্যে অঙ্গের হিসাব কিছুটা ভিন্ন রকমের।নাভী থেকে নিয়ে লজ্জাস্থানের উপরী ভাগ পর্যন্ত একটি অঙ্গ। এই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি নামাযে খুলে যায়,এবং ইচ্ছাকৃত হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৩৯৯)
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিক খুলে যায়, তাহলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এক-চতুর্থাংশের কম হলে চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় নামাজ নষ্ট হবে না।যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে,
তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না- (রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯,তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নবর্ণিত সূরতে নামায ফাসিদ হবে না।
(২)
নামায ফাসিদ হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/975
(৩)
উপযুক্ত কারণ ব্যতিত কারো প্রতি কু-ধারণা রাখলে, অবশ্যই গোনাহ হবে।