আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

আমি অনার্স ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত।আলহামদুলিল্লাহ আমি পরিপূর্ণ পর্দা করি। স্টুডেন্ট আইডি কার্ড /এনআইডি কার্ড/আবাসিক হোস্টেল কার্ডে  পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হয় বাধ্যতামূলক। এখন আমি যদি নিকাব পরে ছবি দিতে চাই তাহলে কার্যকর হবেনা।তাই হিজাব পরে কোনো ধরনের সাজগোজ ছাড়া মুখ খোলা রেখে পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে পারবো কি?? এই আইডি কার্ড গুলো বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে ফটোকপি করতে হয়, ছবি থেকে ছবি বের করে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে মহিলা ফটোকপির দোকানদার/কম্পিউটারের দোকানদার না পেয়ে থাকলে আমরা কি পুরুষদের কাছে ফটোকপি, ছবি থেকে ছবি বের করে নিতে পারবো??
বিভিন্ন সময় ঐ প্রতিষ্ঠানের ঐ বিষয়ে পুরুষ কর্মচারীরা এই আইডি কার্ডের ছবি গুলো দেখে  তখন কি আমরা গোনাহগার হবো???

আর একটা প্রশ্ন:আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর ইসলামের বুঝ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।বর্তমানে আমাদের যে ভাইরা জেনারেল শিক্ষিত এবং ধর্মনিরপেক্ষতা,নাস্তিক্যবাদ নারীবাদ,পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন ফাঁদ ইত্যাদি নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তাদের বই, লেকচার শুনে ইসলামের বুঝ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার পড়াশুনা করার ইচ্ছে আছে এবং আমার আশেপাশের যে বোনেরা এগুলোতে আচ্ছন্ন তাদেরকে সচেতন করার ইচ্ছে।

আমার পূর্বে চাকুরি করার স্বপ্ন থাকলেও তা আমি বাদ দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।আমার বাসা থেকে আমাকে বিয়ে দিতে ইচ্ছুক।আমার বিয়ের পর আমি ভার্সিটিতে আর ক্লাস করতে ইচ্ছুক নই,কারন তখন একজন স্ত্রীর দায়িত্ব থাকে স্বামীর সংসার দেখাশুনার। কিন্ত আমার স্বপ্ন জেনারেল শিক্ষিত বোনদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করার।

এখন আমি একটা পরামর্শ চাই।আসলে আমি বুঝতেছিনা কি সিদ্ধান্ত নিব।আমি বিয়ের পর পড়াশুনা কন্টিনিউ করবো নাকি ছেড়ে দিব এটা নিয়ে দোটানায় আছি।

আমি চাচ্ছিলাম আমার ডিপার্টমেন্ট যদি আমাকে অনুমতি  দেয় শুধু পরীক্ষার সময় এসে পরিপূর্ণ পর্দা মাহরাম ননমাহরাম মেইনটেইন করে  পরীক্ষা দিয়ে যাবো।ভার্সিটিতে আর থাকতে হবেনা,স্বামীর সংসার করতে পারবো আর পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে যাব।তাহলে আমার দুটোই কন্টিনিউ হচ্ছে।আমার চাকুরি করার ইচ্ছে নাই শুধু আকটা ডিগ্রী প্রয়োজন ভালো রেজাল্ট এরো দরকার নাই।ডিগ্রী এজন্যই চাই যখন আমি জেনারেল শিক্ষিত বোনকে ইসলামের দাওয়াত দিতে যাব তখন যেনো আমার কথাকে অবমূল্যায়ন না করে।এটা ছাড়া আমার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই ডিগ্রী অর্জনের।

এই সিদ্ধান্তটা কি ঠিক হবে নেয়া। ইসলাম কি অনুমতি দেয় এক্ষেত্রে।

দ্বিতীয়ত: আমি টোটালি ভার্সিটি ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছুক।

এই সিদ্ধান্ত টাও কি ঠিক হবে।।

দয়া করে ইসলামের আলোকে আমাকে পরামর্শ দিবেন।জাঝাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১; বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে শিক্ষাগ্রহণের নিয়ত রাখেন,তাই আপনি ভার্সিটির শিক্ষার স্বার্থে ছবি তুলতে পারবেন।যদি আপনি দাওয়াতের ইচ্ছা রাখেন, তাহলে আপনি ভার্সিটির শিক্ষাকে চালিয়ে যেতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...