আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
reshown by

আমার মনে নেই, হাদিসের নম্বর বা হাদিস গ্রন্থের নাম।কিন্তু ঘটনাটি মনে আছে,ঘটনাটি এমন ছিল যে,

কোন লোক (সাহাবী নাকি কাফের মনে নেই) মসজিদের ভিতরেই  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সামনে প্রস্রাব শুরু করে দিল।মসজিদে উপস্থিত অন্যান্য সাহাবিরা থামানোর চেষ্টা করলে, রাসুল (সাঃ) থামাতে নিষেধ করেন, আরো বলেন যে তার প্রস্রাব শেষ হলে সেখানে পানি ঢেলে দিতে।

আমি হাদিসটির মান, হাদিস নম্বর, হাদিস গ্রন্থের নাম জানতে চাই।

আরো জানতে লোকটি কি ইচ্ছা করেই মসজিদকে অপমানের জন্য কাজটি (প্রসাব) করেছিল।

এই হাদিস থেকে কি এটা বলা যায় যে,

কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ (এখানে মন্দির ভাঙা বা মূর্তি ভাঙার কথা বলা হয় নি) যাবে না। যেহেতু রাসুল (সাঃ) এখানে তেমন কিছুই করে নি।

আপাতত আমাদের দেশে এটা প্রশাসন দেখছে, তাই হয়তোবা প্রতিবাদ তেমন প্র‍য়োজন না।কিন্তু কোনো দেশে প্রশাসন কিছু না করলে কি করা উচিত? 

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم رَأَى أَعْرَابِيًّا يَبُولُ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ " دَعُوهُ ". حَتَّى إِذَا فَرَغَ دَعَا بِمَاءٍ فَصَبَّهُ عَلَيْهِ

আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বেদুঈনকে মসজিদে পেশাব করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেনঃ ‘তাকে ছেড়ে দাও’। সে পেশাব শেষ করলে পানি নিয়ে আসতে বললেন, অতঃপর তা সেখানে ঢেলে দিলেন। (বুখারী শরীফ ২১৯.২২১, ৬০২৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৯)

হাদীসের মানঃ সহীহ। 

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَهُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ وَهَرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ، أَوْ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ، وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ".

আবূল ইয়ামান (রহঃ)......... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশাব করে দিল। তখন লোকজন তাকে বাধা দিতে যাচ্ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ ওকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারন তোমাদের সহজ ও বিনম্র আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোর আচরণের জন্য পাঠানো হয়নি।
(বুখারী শরীফ ২২০)

হাদীসের মানঃ সহীহ। 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَالَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَامُوا إِلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لا تُزْرِمُوهُ ". ثُمَّ دَعَا بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَصُبَّ عَلَيْهِ.

আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওহহাব (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পেশাব করা বন্ধ করো না। তারপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো।
(বুখারী শরীফ ৫৬০০)

হাদীসের মানঃ সহীহ। 


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
উল্লেখিত ব্যাক্তি বেদুইন (গ্রাম্য) ব্যাক্তি ছিলেন।
হাদীসে তাকে কাফের হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
সম্ভবত গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে উঠার কারনে আর নব মুসলিম হওয়ায় মসজিদের আদবের বিষয় তার জানা না থাকার কারনেই তিনি এমনটি করেছিলেন।  
  
তাকে পেশাব করা থেকে বাধা দেওয়ার জন্য সাহাবায়ে কেরামগন যখন অগ্রসর হতে লাগলেন,তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিষেধ করার কারন সম্পর্কে মুসলিম শরীফের শরাহ মিনহাজ গ্রন্থে আছেঃ 

 كان قوله صلى الله عليه وسلم : " دعوه " لمصلحتين إحداهما أنه لو قطع عليه بوله تضرر ، وأصل التنجيس قد حصل فكان احتمال زيادته أولى من إيقاع الضرر به . والثانية : أن التنجيس قد حصل في جزء يسير من المسجد فلو أقاموه في أثناء بوله لتنجست ثيابه وبدنه ومواضع كثيرة من المسجد . 
সারমর্মঃ
এখানে দুটি বিষয়ের দিক রাসুলুল্লাহ সাঃ লক্ষ্য করেছিলেন।
এক, যদি তার পেশাব করা বন্ধ করে দেওয়া হতো,তাহলে তার শারীরিক ক্ষতি হতো।
আর মসজিদ তো ইতিমধ্যে নাপাক হয়েই গিয়েছিলো।

দুই,
ইতিমধ্যে মসজিদের সামান্য অংশে নাপাকি লেগেছে।
এখন তাকে পেশাব করা থেকে বাধা দেওয়া হলে তার কাপড়,শরীর,এবং মসজিদের অনেক জায়গা নাপাক হয়ে যেতো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...