জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তে মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলা নিষেধ করা হয়েছে।
যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, ফেইসবুকে প্রয়োজন ছাড়া গায়রে মাহরাম মেয়েদের বন্ধু বানানো, তাদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।
দ্বীনী কোন বিষয় থাকলে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ "
ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমণী মাত্রই আবরণীয় (বিষয়), যখন সে বের হয় তখন শায়ত্বন তাকে সুশোভিত করে তোলে বা শায়ত্বন হাত আড় করে তার প্রতি তাকায়।
তিরমিযী ১১৭৩, ইরওয়া ২৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯০,মিশকাত ৩১০৯)
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রয়োজনে ফ্রেন্ডলিস্টে গাইরে মাহরাম অ্যাড রাখা শারী'আহ সম্মত।
তবে শর্ত হলো ফিতনার আশংকা না থাকা।
অপ্রয়োজনে ফ্রেন্ডলিস্টে গাইরে মাহরাম অ্যাড রাখা শারী'আহ সম্মত নয়।
,
(০২)
এগুলোর কোনকটিই প্রয়োজনীয় কাজ নয়।
অপ্রয়োজনীয় কাজ।
ফিতনার আশংকা থাকায় গায়রে মাহরামদের পোস্টে এহেন অপ্রয়োজনীয় রিয়েক্ট শরীয়ত সমর্থিত নয়।
,
(০৩)
এতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে শরীরের কোনো ক্ষতি না হলে অনুমতি রয়েছে।
(০৪)
মহিলাদের কন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত কিনা!
বিষয়টি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ভয়েস অন করে ক্লাস নেওয়ার উপরেও সেই মতবিরোধ হবে।
অনেকের মতে জায়েজ নেই।
কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ফিতনার আশংকা না
থাকলে কোমলতা পরিহার করে জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ