আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।শায়েখ একটু বড় হয়ে যাওয়ায় মাফ করবেন।আমি আপনাকে আমার সমস্যা টা বিস্তারিত ভানে বলার চেষ্টা করছি।

১) শায়েখ আমাদের জীব বিজ্ঞান বইয়ের বিভিন্ন লাইন শিরকি মনে হয় যেমনঃ "জিন বংশগতির নিয়ন্ত্রক" (মা বাবার বৈশিষ্ট্য যে প্রক্রিয়ায় সন্তানে যায় তাই বংশগতি।জিন মানুষের কোষের নিউক্লিয়াস এর ক্রোমজোমের অতি ক্ষুদ্র একক যা আমাদের বিভিন্ন বৈশিষ্টয ধারন করে বা নিয়ন্ত্রণ করে;যেমন উচ্চতা গায়ের রঙ ইত্যাদি।এইটাই প্রজনের সময় মা ব্বা থেকে সন্তানে যায় যার কারণে সন্তান তাদের বৈশিষ্টয পায় বংশধারা বজায় থাকে)। হয়তো বইয়ে জিন কে এইব্জন্যে নিয়ন্ত্রক বলা হয়েছে কারণ এটাই তো আমাদের বিভিন্ন বশিষ্টয ধারন করে আর এটাই মা বাবা থেকে সন্তানে যায় ।কিন্তু আমার মনে হয় আল্লাহই তো এই বংশগতির নিয়ন্ত্রক।তিনি যে বৈসহিষ্টয চান ওইটাই তো স্নতান পায়।এখন জিন কে নিয়ন্ত্রক বললে কি শিরক হবে শায়েখ?

২) তারপর এই যে আমি ব্রাকেটে বললাম জিন আমাদের বৈশিষ্টয নিয়ন্ত্রণ করে এইটা কি শিরক হয়েছে শায়েখ?

 

৩)জিন এর সংগায় জিনকে দৃশ্য(ঐ)  ও অদৃশ্যমান( খুব সম্ভবত বুদ্ধি বা আবেগ এই জাতীয় বৈশিষ্টয বোঝানো হয়েছে।আসলে এটা নিয়ে আমি এতো ক্লিয়ার না। আর আবেগ যদি জিন দ্বারা নির্দিষ্ট ই থাকে তাহলে দু'আর মাধ্যমে তো অনেক শক্ত দিল ও নরম হয় আবেগ বেড়ে যায় আবার গুনাহ করলে তো দিক শক্ত হয় কান্না আসে না। তো এমন কেন হয় বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা আছে কি না জানি না। আর আদতে এখানে অদৃসহ্যমান লক্ষ্ণ এর মধ্যে আবেগ পরে কিনা তাও আমি শিওর না)লক্ষন বা বৈশিষ্টের নিয়ন্ত্রক বলা হয়েছে।তো এগুলোর নিয়ন্ত্রক তো আল্লাহ! এই সংংগা কি শিরকি?

 

***৪)আরো যেমন DNA থেকে প্রোটিন প্রাণ রাসায়নিক বিক্রিয়া র গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে আর তা থেকে পরিবেশের সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় সন্তানের বৈসহিষ্ট শায়েখ এটা কি শিরকি?

শায়েখ, মানুষ যে এখন উদ্ভিদের কৃত্রিম প্রজনন ঘটায় উন্নত ফসল পেতে।তো বই য়ে এভাবে বলা যে মানুষ কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে কাংখিত বৈশিষ্টের উন্নত উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।এখানে সৃষ্টি করে কথা টা শিরকে হবে বললে?

 

শায়েখ সংগার যেই ব্যপার টা বললাম ওইটা তে যদি আসলেই কোন সমস্যা হয় তাহলে কিভাবে পরীক্ষায় লিখবো?আর বহুনির্বাচনি তে যদি আসে "কোনটি বংশগতির নিয়ন্ত্রক " তাহলে কি দিবো?

 

***শায়েখ এমন অনেক কথা ভেবে ভেবে আমি অস্থির। পড়তে গেলে এত বিষয় নিয়ে ভাবলে মাথা ব্যথা করে।পড়তে পারি না অথচ আমার এই নভেম্বর এ পড়িক্ষা!!জেনারেল পরিবারে বেড়ে ওঠা আমার জন্য পরীক্ষায় খারাপ করা দ্বীন পালন অনেক কঠিন হওয়ার আশংকা আছে।আমার আরো আগেও এমন মনে হতো যেমনঃ "এখন না পড়লে পরীক্ষায় খারাপ করবে,পানি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে,সূর্য এর আলো না থাকলে আমাদের জোবন অচল হয়ে যেতো,অমুক এটা করেছে দেখেই এমন টা হয়েছে, এমন কথাও শিরক মনে হতো।এরপরে লম্বা সময় কোন সমস্যা হয় নি কিন্তু এখিন আবার শুরু হয়েছে!!!

শায়েখ আমি প্রচন্ড ভাবে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত আরো  দ্বীনের একাধিক বিষয় নিয়ে!!

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
 
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের  যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না। 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরীক্ষায়  বর্ণনার জন্য যেকোনো কুফরী কথা/ বহুনির্বাচনি তে যদি আসে "কোনটি বংশগতির নিয়ন্ত্রক " তাহলে বইয়ে যাহা আছে,তাহা লেখা জায়েজ আছে।
,
তবে ইসলাম বিরোধী কোনো আকীদা পোষন করা জায়েজ হবেনা।    

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...