আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
১/ আমি আব্দুল্লাহ।একটা প্রশ্ন। গত কয়েক মাস আগে আমার একটা সমস্যা হয়েছিল।বলা যায় ওয়াসওয়াসার সমস্যা।তখন আমি  প্রায় সব বিষয়ে একটা সন্দেহ ভাব ছিল।মানে যদি কোনোভাবে নাপাক জিনিসোর কাছে যেতাম বা নিজে শরীর নাপাক হত তখন আমি বিছানায় বা কোনো জায়গায় বসলেই মনে হত এটা নাপাক হয়ে গেছে।আবার একটা কাপড় নাপাক থাকলে সেটার পাশে আরেকটা রাখলে মনে হতো পরিষ্কার কাপরটা নাপাক হয়ে গেছে।সেটাকে কমপক্ষে ২০ বার হাত দিয়ে চেক করতাম যে নাপাকি দ্বারা ভিজেছে কীনা তাও সন্দেহ দুর হতো না।তো এরকম হতো করতে করতে আমি ঘরের প্রায় সব জিনিসকে নাপাক ধরে নিয়েছিলাম।এতে আমি মাকে   বারাবার বিরক্ত করতাম যে মা এটা ধুয়ে দেও।ওটা মুছে দাও এরকম অনেক সমস্যা।তো আমার মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।আল্লাহর রহমতে আমি এখন ভালো আছি।

আমার প্রশ্ন

এখন আমি যে সবকিছুকে নাপাক ধরেছি আমাকে  কী সেগুলোকে পবিত্র করতে ই হবে।নাপাক হবার যুক্তি হচ্ছেঃ(অনেক সময় মযি বের হলে,বা প্রশাব করলে পানি না নিয়ে এসে বিছানয় শুয়ে পড়াতাম।তখন দ্বীন সম্পর্কে জানলেও অসতর্ক ছিলাম।)এরকম অনেক নাপাক কাজ করে পবিত্র না হয়ে শুতাম। সেই নাপাকি টা বিছানায় ছড়াতেও পারে।আমি এটা ভেবেই যে ছড়াতেও পারে তাই পবিত্র করব এরকম ভাবতাম।

২/ নাপাক না হওয়ার যুক্তি(আমি একদম ১০০%  দেখিনি  বা নিজ চোখে দেখিনি যে সেটায় নাপাকি স্পস্ট লেগেছিল কীনা।শুধু মনে হচ্ছে হতে পারে অসতর্কতার জন্য)

এখন আমি কী করব।একবার নাপাক ধরে নিয়েছি বিধায় কী সেগুলোকে মানে ঘরের জিনিসকে  নাপাকই ধরব।না আমার শতভাগ মনে নেই বা জানি না বিধায় সেগুলো নাপাক না ধরে পবিত্র ধরব।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আমরা https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে, ইমাম নববী র. উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

 

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

যেই বস্তুতে নাপাক লাগার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হবেন যে , তাতে নাপাক লেগেছে  কেবলমাত্র সেই বস্তুটি পবিত্র করা আপনার জন্য আবশ্যক । অন্যথায় সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোন বস্তুকে নাপাক মনে করা যাবে না। এটি আপনার ওয়াসওয়াসার আলামত,যা থেকে বেচে থাকা আবশ্যক ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 284 views
0 votes
1 answer 433 views
...