ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
আপনি বড় বোন, আপনি আপনার ছোট ভাইকে স্নেহ করবেন,আদর করবেন।আপনাকে সে শ্রদ্ধা করবে।তবে আপনি গতানুগতিক অভিভাবক নন।
বাবা না থাকলে, দাদা অভিভাবক হন, দাদা না থাকলে, বড় ভাই, বড় ভাই না থাকলে, চাচা অভিভাবক হয়ে থাকেন। মা বা বড় বোন, কখনো গতানুগতিক অভিভাবক হতে পারেন না।
সুতরাং আপনি যদি আশা করেন যে, আপনার ছোট ভাই আপনাকে বাবা, দাদা বা বড় ভাই কিংবা চাচার মত অভিভাবক মনে করুক, তাহলে আপনি ভূল করছেন। এটা কখনো হতে পারে না।
যে ৪/৫ হকের কথা বলছেন, সেটা হতে পারে, অথবা হিসেব করলে আর বেশীও হতে পারে।এসবগুলোই মুস্তাহাব পর্যায়ের।
আপনার ছোট ভাইয়ের কোনো কথা বা কাজ আপনার নিকট দূষণীয় মনে হলে, আপনি বাবা বা ধারাবাহিক অভিভাবককে অবগত করুন।
وَنَفَقَةُ الْغَيْرِ تَجِبُ عَلَى الْغَيْرِ بِأَسْبَابٍ ثَلَاثَةٍ: زَوْجِيَّةٌ، وَقَرَابَةٌ، وَمِلْك
একজনের উপর অন্যজনের নাফক্বাহ/খোরপোষ ওয়াজিব হওয়ার সবব বা কারণ সর্বমোট তিনটি।
(১)বৈবাহিক সম্পর্ক
(২)আত্মীয়তার সম্পর্ক
(৩)মিলকিয়্যাত(গোলাম-মালিক)এর সম্পর্ক।
উপরোক্ত তিন প্রকারের মধ্যে প্রশ্নে বর্ণিত পিতা ও মেয়ের বিষয়টা দ্বিতীয় প্রকার তথা আত্মীয়তার সম্পর্কের আওতাধীন।
এসম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (খঃ৪১/পৃঃ ৭৬) বর্ণিত রয়েছে....
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3712