বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তা'আলা
বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا
أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ
لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ
تَعْلَمُونَ
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো
না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন
কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং- ১৮৮)
■ সুদ
সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ
یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ
یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا
الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ
الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا
سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ
النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য
যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ
ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ
এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে
যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই
জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা (২) : ২৭৫)
یَمْحَقُ اللهُ
الرِّبٰوا وَ یُرْبِی الصَّدَقٰتِ وَ اللهُ لَا یُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ
اَثِیْمٍ.
■ আল্লাহ
সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে
ভালোবাসেন না। (সূরা বাকারা (২) : ২৭৬)
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ
اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ
مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ
رَسُوْلِهٖ وَ اِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوْسُ اَمْوَالِكُمْ لَا
تَظْلِمُوْنَ وَ لَا تُظْلَمُوْنَ.
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও।যদি তোমরা না ছাড় তবে
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। আর যদি তোমরা তাওবা কর
তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা (কারও প্রতি) জুলুম করবে না এবং তোমাদের
প্রতিও জুলুম করা হবে না। (সূরা বাকারা (২) : ২৭৮-২৭৯)
■ ঘুষ
সম্পর্কে হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ
قَالَ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الرَاشِيَ
وَالْمُرْتَشِيْ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুষ
গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারীর উপর অভিশাপ করেছেন (ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত, হা/৩৭৫৩
‘নেতৃত্ব’ অধ্যায়)।
■ হাদীসে
বর্ণিত হয়েছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ
صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤكِلَهُ، وَشَاهِدَيْهِ،
وَكَاتِبَهُ.
যে সুদ খায়, যে সুদ
খাওয়ায়, যে সাক্ষী
থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয়
সকলের প্রতি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন। -মুসনাদে
আহমাদ, হাদীস ৬৬০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৩৩৩; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৬
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, উক্ত চাকরী
করা জায়েজ আছে। তবে উচিৎ হলো এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরী না করা
যেখানে ধোঁকা, প্রতারণাও
রয়েছে ৷ হ্যাঁ, যদি ঐ প্রতিষ্ঠানে অন্য হালাল কাজের তুলনায় সুদী, ধোঁকা, প্রতারণা হিসাব করার
কাজ নিতান্তই কম থাকে,তাহলে ফুকাহায়ে কেরাম, এমন কাজের রুখসত দিয়ে থাকেন অর্থাৎ এমন
প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা জায়েজ আছে এবং উক্ত ব্যক্তি নিজে নিজ স্থান থেকে সততার সাথে
কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন৷ সর্বোপরি এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরী না করাই উত্তম
হবে এবং তাকওয়ার নিকটবর্তী হবে।