বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ গীবত করা
হারাম। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ
" . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذِكْرُكَ
أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا
أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ
لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী
জিনিস? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও
তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, (গীবত হল)
তোমার ভাই এর সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে
অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হল, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে থেকে
থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে
যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না
থাকে তা হলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৬৩৫৭)
■ অন্যের সাথে
ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " آيَةُ
الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا
اؤْتُمِنَ خَانَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটিঃ ১.
যখন কথা বলে মিথ্যা বলে ২. যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে এবং ৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত
করে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২
অন্যের সাথে ওয়াদা করলে তা পূর্ণ করা উচিৎ। তবে যদি কেউ উক্ত ওয়াদা পূর্ণ না
করে তাহলে তার গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ ।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. গীবত হয়ে গেলে
করণীয় হলো, যার গীবত করেছেন তার কাছে মাফ চেয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ
তায়ালার কাছেও মাফ চেয়ে নেওয়া।
২. ওয়াদা করলে তা
পূর্ণ করা উচিৎ। সুতরাং একান্ত ওয়াদা করে ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা দেওয়া লাগবে না। তবে
এভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করা উচিৎ নয়।