ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6411নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
وَلَوْ سَجَدَ عَلَى الْحَشِيشِ أَوْ التِّبْنِ أَوْ عَلَى الْقُطْنِ أَوْ الطَّنْفَسَةِ أَوْ الثَّلْجِ إنْ اسْتَقَرَّتْ جَبْهَتُهُ وَأَنْفُهُ وَيَجِدُ حَجْمَهُ يَجُوزُ وَإِنْ لَمْ تَسْتَقِرَّ لَا
যদি কেউ ঘাস-পাতার বা ধুলাবালি কিংবা রুই বরফ ইত্যাদির উপর সিজদা দেয়,যদি তার কপাল/নাক শক্ত জায়গায় গিয়ে অটকে যায়,এবং সে ঐ জিনিষের হাড্ডি সমতূল্য মূল অবয়বে গিয়ে আটকে যায়,তাহলে তার নামায বিশুদ্ধ হবে।আর যদি না কপাল বা নাক কোথাও গিয়ে না আটকে,বরং নিচের দিকে যেতেই থাকে,তাহলে তার নামায হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭০)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
সিজদা হল,মাঠিতে কপাল রাখা।কপাল দ্বারা যখন সিজদা দেয়া হবে,তখন যমিনের শক্ততা অনুভব করা।যদি যমিনের শক্ততা অনুভব করা না যায়,তাহলে সিজদা হবে না।এবং নামাযও হবে না।
কাপড় ইত্যাদির আবরণ ব্যতীত সিজদা করতে হবে।তবে যদি কেউ কাপড় বা পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় সিজদা দেয়,এবং শক্ততাকে অনুভব করতে পারে,তাহলে তার নামায হয়ে যাবে।তবে মাকরুহ হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ বোন!
ফ্লোরে নামায পড়াই উত্তম।শক্ততা অনুভব করা গেলে বিছানায় নামায হবে।অন্যথায় নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।
আপনি ফ্লোরের উপর ফ্যান লাগানোর চেষ্টা করুন।এবং ফ্যান লাগানোর পূর্ব পর্যন্ত বিছানায় নামায পড়তে পারবেন।তবে সাবধান, কপালে শক্ততা অনুভব হতে হবে।