بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি বোন! নিম্ন লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
★ইসলামী শরিয়তে স্ত্রীর জন্য
তার স্বামী ছাড়া অন্য কারও সেবা করাকে ফরয করা হয় নি। স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন বা অন্য কাররই
নয়।
তবে শশুর-শাশুড়ির সেবা করা যেমন স্বামীর প্রতি ইহসান ও ভালবাসার
বর্হি:প্রকাশ অন্যদিকে নেকীর কাজ তাতে কোন সন্দেহ নাই। কোন স্ত্রী যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির
উদ্দেশ্যে তার শশুর-শাশুড়ির খেদমত করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে আখিরাতে পুরষ্কার প্রদান
করবেন ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সমাজে শশুর-শাশুড়ির সেবা করাকে একজন নারীর ভালোগুণ হিসেবে
ধরা হয়। তাই সামাজিক এই সুন্দর কালচারটি বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিৎ।
তাছাড়া এটাও মনে রাখা দরকার যে, তার জীবনেও কনো একদিন
এমন সময় আসতে পারে যখন তার পত্রবধুর সেবা প্রয়োজন দেখা দিবে। তাই সে যদি এখন সন্তুষ্ট
চিত্তে আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের আশায় শশুর-শাশুড়ির সেবা করে তবে সে যখন শাশুড়ি হবে
তখন আশা করা যায়, তার পুত্রবধুরা তার সেবা করবে।
আদিকাল থেকেই পৃথিবীব্যাপী
মুসলমানদের মাঝে ব্যাপকভাবে যৌথপরিবার ব্যবস্থা চালু আছে। বিশেষত পাক-ভারত উপমহাদেশে
এ ব্যবস্থাই সর্বাধিক প্রচলিত। সাধারণত একটি পরিবারে স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা, ভাই-বোন এমনকি দাদা-দাদী মিলে একত্রে বাস করে থাকে। মুসলিমগণ বিবাহের পর স্ত্রীকে
পেয়ে বিধর্মীদের মত মা-বাবাকে ভুলে যায় না। বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়
না। পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরম যত্নের সাথে আমৃত্যু অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবার
সেবাযত্ন করে যায়। মূলত ইসলাম ধর্মই মুসলমানদের এ মানবিকতা শিক্ষা দিয়েছে। আর পারিবারিক
বন্ধন ও অনুশাসনের কারণেই বর্তমান নৈতিক অবক্ষয়ের যুগেও মুসলমানদের মধ্যে শৃঙ্খলা,
পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি এবং নৈতিক মূল্যবোধ বহাল রয়েছে।
তবে যৌথপরিবার ব্যবস্থায় মাঝেমধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সদস্যদের
মাঝে কলহ-বিবাদ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে থাকে। তন্মধ্যে একটি বিষয় হলো, পরিবারে স্ত্রীর কাজকর্মের
পরিমাণ ও পরিধি নিয়ে। অনেকে বিয়ের পর স্ত্রীকে ঘরে এনেই মনে করে যে, এখন থেকে স্ত্রীই পরিবারের প্রয়োজনীয় সকল কাজকর্ম আঞ্জাম দিবে। তাকে যেন ঘরের
রান্নাবান্না, ঘরগোছানো, শ্বশুর-শাশুড়ির
সেবাযত্ন, দেবর-ননদদসহ সকলের কাজের পিতামাতার খেদমত ও সেবা-যত্ন
করা মূলত সন্তানের উপরই ওয়াজিব। এটা সন্তানের প্রতি শরীয়ত কর্তৃক আরোপিত আবশ্যিক দায়িত্ব
ও কর্তব্য। পুত্রবধূর উপর তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ-দেবরের সেবাযত্ন করা এবং তাদের জন্য
রান্নাবান্না করা আবশ্যক নয়। বরং স্বামীরই কর্তব্য নিজের পিতা-মাতা ও ছোট ভাই-বোনদের
সেবাযত্ন ও দেখাশোনা করা। কোনো কারণে স্বামীর জন্য স্বয়ং তাদের খেদমত ও সেবাযত্ন করা
সম্ভব না হলে কাজের লোক নিয়োগ করে হলেও তাদের খেদমতের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব। এক্ষেত্রে
স্বামী নিজের পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের সেবাযত্নের জন্য কোনোভাবেই স্ত্রীকে বাধ্য করতে
পারবে না। তবে স্বামীকে যেহেতু স্ত্রী-সন্তানের জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে
কাজকর্ম করতে হয় তাই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা ও সদাচারের দাবি এই যে,
স্ত্রী স্বেচ্ছায় যতটুকু সম্ভব শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করবে। তাদেরকে আপন
পিতা-মাতার ন্যায় মনে করবে। তাদের জন্য কিছু কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করাকে নিজের জন্য
সৌভাগ্য ও পুণ্যের কাজ মনে করবে। আর স্বামীর ছোট ভাই-বোনদের যথাসম্ভব আদরযত্ন করবে।
এটা স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর উপর ইহসান ও অনুগ্রহ হিসেবে গণ্য হবে। যার পূর্ণ প্রতিদান
সে আখেরাতে লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। সাহাবাযুগেও স্ত্রী কর্তৃক শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট্ট
ননদদের সেবাযত্ন করার প্রচলন ছিল বলে হাদীস শরীফে প্রমাণ পাওয়া যায়। নিম্নে দুটি হাদীস
উল্লেখ করা হলো।
১. কাবশা
বিনতে কাব ইবনে মালিক রাযি. হতে বর্ণিত। তিনি হযরত আবূ কাতাদা রাযি. এর পূত্রবধূ ছিলেন।
একদা আবূ কাতাদা রাযি. তার কাছে এলেন। কাবশা রাযি. বলেন, আমি
তাঁর জন্য অযুর পানি প্রস্তুত করে দিলাম। এমন সময় একটি বিড়াল এসে পানি পান করতে শুরু
করল। আবূ কাতাদা বিড়ালটির জন্য পানির পাত্র কাত করে ধরলেন। আর বিড়ালটি পরিতৃপ্ত হয়ে
পানি পান করল। [জামে তিরমিযী, হাদীস: ৯২; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস: ৭৫]
২. অপর
এক হাদীসে আছে। হযরত জাবের রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে জাবের! তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কেমন মেয়ে বিয়ে করলে? কুমারী না অকুমারী? আমি বললাম, জ্বী না, কুমারী নয়; বরং অকুমারী।
তিনি বললেন, কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না কেন? সে তোমার সাথে আমোদ-প্রমোদ করত। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
إِنَّ أَبِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ
كُنَّ لِي تِسْعَ أَخَوَاتٍ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَجْمَعَ إِلَيْهِنَّ جَارِيَةً
خَرْقَاءَ مِثْلَهُنَّ، وَلَكِنِ امْرَأَةً تَمْشُطُهُنَّ وَتَقُومُ عَلَيْهِنَّ.
قَالَ: أَصَبْتَ
.
‘আমার
বাবা উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি নয়টি মেয়ে রেখে গেছেন এখন আমার নয় বোন। এ কারণে আমি তাদের সাথে তাদেরই
মত একজন অনভিজ্ঞ মেয়েকে এনে একত্রিত করা পছন্দ করলাম না। বরং এমন একজন মহিলাকে (বিয়ে
করা পছন্দ করলাম), যে তাদের চুল আঁচড়িয়ে দিতে পারবে এবং তাদের
দেখাশোনা করতে পারবে। (এ কথা শুনে) নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তুমি ঠিক করেছ।’ [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪০৫২] হাফেয
ইবনে হাজার আসকালানী রহ. উক্ত
হাদীসের ব্যাখ্যায়
বলেন-
ﻭﻓﻴﻪ ﻣﺸﺮﻭﻋﻴﺔ ﺧﺪﻣﺔ اﻟﻤﺮﺃﺓ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﻭﻣﻦ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﻪ ﺑﺴﺒﻴﻞ ﻣﻦ ﻭﻟﺪ ﻭﺃﺥ
ﻭﻋﺎﺋﻠﺔ ﻭﺃﻧﻪ ﻻ ﺣﺮﺝ ﻋﻠﻰ اﻟﺮﺟﻞ ﻓﻲ ﻗﺼﺪﻩ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ اﻣﺮﺃﺗﻪ ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﻟﻜﻦ ﻳﺆﺧﺬ
ﻣﻨﻪ ﺃﻥ اﻟﻌﺎﺩﺓ ﺟﺎﺭﻳﺔ ﺑﺬﻟﻚ ﻓﻠﺬﻟﻚ ﻟﻢ ﻳﻨﻜﺮﻩ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
‘এতে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ও তার সন্তান,
ভাইবোন এবং পরিবারের সেবা করার বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। আর এ কথারও প্রমাণ
রয়েছে যে, স্বামীর জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে এরূপ খেদমত কামনা করতে
অসুবিধা নেই, যদিও তা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়। তবে হাদীস থেকে
এ বিষয়টি আহরিত হয় যে, স্ত্রীদের এরূপ খেদমত করার প্রচলন সে যুগেও
ছিল। একারণে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রী থেকে জাবের রাযি.-এর সেবা
গ্রহণের উদ্দেশ্যের প্রতিবাদ করেননি।’ [ফাতহুল বারী ৯/১২৩]
অতএব স্বামীর মা-বাবার
খেদমতের প্রয়োজন হলে তারই কর্তব্য তাদের দেখভাল ও সেবা-যত্ন করা। স্ত্রী তাদের সেবা
করতে আইনত বাধ্য নয়। তবে স্ত্রী সন্তুষ্টচিত্তে তাদের সেবাযত্ন করলে তা হবে তার জন্য
সৌভাগ্যের ব্যাপার। এর বিনিময়ে সে পরকালে সওয়াব পাবে। আর এটা কাম্যও যে, স্ত্রী স্বামীর মা-বাবাকে
নিজের মা-বাবার মতো সম্মান ও সমীহের চোখে দেখবে। তাদেরকে মনেপ্রাণে ভালোবাসবে এবং তাদের
সেবা করতে পারাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করবে। অপরদিকে শ্বশুর-শাশুড়িরও করণীয় হলো,
পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতো আদরযত্ন করা। তার সুখ-সুবিধা ও আরাম-আয়েশের
প্রতি খেয়াল রাখা। মূলত যৌথ পরিবারে সদস্যদের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা দ্বারাই
শান্তি ও শৃঙ্খলা কায়েম হয়। শুধু একপক্ষের শ্রম ও মেহনত দ্বারা তা কখনও হতে পারে না।
এজন্য সমাজের রীতি অনুযায়ী পরিবারে পুত্রবধূ যেমন শ্বশুর-শাশুড়ির সেবাযত্ন করে,
তেমনি শ্বশুর-শাশুড়িও পুত্রবধূর অনেক কাজে তাকে সহযোগিতা করে থাকে। পুত্রবধূর
কোনো সন্তান জন্ম নিলে দাদা-দাদী বৃদ্ধ বয়সেও নাতি-নাতনিদের জন্য অনেক শ্রম ব্যয় করেন।
আদর-যত্নে তাদের লালনপালন করেন। এটা কিন্তু তাদের আইনত দায়িত্ব নয়। তবুও তারা সানন্দে
এ দায়িত্ব পালন করেন। আসলে বিষয়টি নৈতিকতা ও মানবতাবোধের সাথে জড়িত। এ ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা
ও পরিমিতিবোধের দাবি হলো, স্ত্রীর উপর শরীয়ত কর্তৃক আরোপিত যতটুকু
দায়িত্ব আছে, স্বামী তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে। এর অতিরিক্ত কোনো
দায়িত্ব জোর করে তার উপর চাপাবে না। তবে স্ত্রী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অতিরিক্ত কোনো কাজ
আঞ্জাম দিলে সেটা ভিন্ন কথা। সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর উক্ত কাজটি তার নৈতিকতাবোধের পরিচায়ক
হবে। স্ত্রী তার নৈতিকতার ভিত্তিতে শ্বশুর-শাশুড়ির যতটুকু সেবা করবে, তাকে স্বতন্ত্র মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতে হবে এবং তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে নিতে হবে
এবং সে জন্য তাকে প্রশংসার দাবিদার মনে করতে হবে। আমাদের সমাজে অনেক পুত্রবধূ নিজের
সুখ নিশ্চিত করতে যেয়ে শ্বশুর-শাশুড়ীকে জীবন্ত অভিশাপ ভেবে থাকে। এটি একটি জঘন্য চিন্তাধারা।
পুত্রবধূ শ্বশুর-শাশুড়ীকে নিজের পিতা-মাতার আসনে আসীন করলে তারাও তাকে আপন মেয়ের জায়গায়
স্থান দিতে বাধ্য থাকবেন। কম বুদ্ধিমতি স্ত্রীরাই মাতৃতুল্য শাশুড়ী এবং পিতৃতুল্য শ্বশুরের
সাথে সম্মান ও মাধুর্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করতে পারে না। স্বামীর ছোট্ট ভাই-বোনকে নিজের
ভাই-বোন বলে ভাবতে পারে না। তাদের সাথে সুন্দর ও ভালো আচরণ করতে পারে না। তাদের দ্বারা
পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। অনেক উচ্চশিক্ষিত পুত্রবধূ শ্বশুর-শাশুড়ির
খেদমত করা আইনের দৃষ্টিতে তার ওপর বর্তায় না বলে এড়িয়ে যেতে চায়। তারা ভুলে যায় যে,
আইনের শুষ্ক-রুক্ষ পথে সুখের সংসার রচিত হয় না। এর জন্য প্রয়োজন ত্যাগ,
শ্রদ্ধা-ভালবাসা, অন্যকে প্রাধান্য দেয়ার মানসিকতা
ইত্যাদি মহৎ গুণাবলীর চর্চা। তাই সুখের নীড় রচনা করতে পুত্রবধূর উচিত স্বতঃস্ফূর্তভাবে
যতটুকু সম্ভব শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করা। একে নিজের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় মনে করা।আর
স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে একজনের দ্বারা আরেকজনের
হক নষ্ট না হয় এবং কারো প্রতি জুলুম না হয়। মাতৃভক্তিতে তাড়িত হয়ে স্ত্রীর প্রতি
অবিচার করা কিংবা স্ত্রীর ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে মা-বাবার দিলে আঘাত দেয়া কোনটাই গ্রহণযোগ্য
নয়। তাই স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আচরণ এমন হওয়া উচিত, যেন দাম্পত্য
জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন আরেকজনকে উত্তম স্বামী ও উত্তম স্ত্রী মনে করে।
দাম্পত্যজীবন সুখময় হওয়ার জন্য শুধু পুরুষের প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই যথেষ্ট নয়,
নারীরও সদিচ্ছা ও সচেতনতা অতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে তারও আছে অনেক দায়িত্ব।
[কিফায়াতুল
মুফতী ৫/২৩০; ফাতাওয়া রহীমিয়া ৮/৪৪৭; কিতাবুল
ফাতাওয়া ৪/৪০৮; কিতাবুন নাওয়াযিল ৮/৫৪৭]