بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১. জ্বী আপনার নামাজ হয়ে গেছে। তবে বিনা প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃতভাবে
পা সরা নড়া করা মাকরুহ।
২.নামাজে তেলাওয়াত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে করতে হবে । এ
ক্ষেত্রে কোন উদাসিনতা প্রদর্শন করা যাবে না। তবে ভুলবশত যদি কেউ কোন শব্দ বা আয়াতে
ভুল করে, তাহলে শুদ্ধতার নিয়তে উক্ত
আয়াতটি পুনরায় পড়াই শ্রেয়। তবে যেই শব্দে ভুল হয়েছে সেখান থেকে পুনরায় পড়লেও নামাজ
হয়ে যাবে।
৩. জ্বী আপনার নামাজ হয়েছে।
৪. হাদিস নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার যেহেতু কোনো নিয়ত ছিল
না তাই ঈমান নষ্ট হবে না।
৫. আল্লাহর নামে কসম করার মত কোন জিনিস ছুঁয়ে কসম করলে
তা শিরক হবে। যা থেকে তওবা করা আবশ্যক । অনুরুপ ভাবে যদি কেউ কোন জিনিস ছুঁয়ে বা স্পর্শ
করে কোন কথা বলে তাহলেও তা থেকে তওবা করতে হবে।কেননা তা কুসংস্কার ও বেদআত, যা পরিত্যায্য।
কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার
নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েজ। এমনকি কোরআনের নামে বা তা স্পর্শ করে
কসম করাও নিষিদ্ধ। যদিও তা কার্যকর হয়ে যায়।(বাদায়িউস সানায়ে : ৩/৬৩; আল-বাহরুর রায়েক : ৪/২৮৬; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ২/৫৩)
অনেককেই দেখা যায়, কোরআন ছুঁয়ে, মাথা ছুঁয়ে, মাজার বা পীরের নামে শপথ করে। ইসলামী বিধান
মতে, তা শিরক ও সবচেয়ে বড় গুনাহ।
হাদিস শরিফে আছে, ‘যে ব্যক্তি
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করে, সে অবশ্যই কুফরি বা শিরক করল।’ (তিরমিজি
শরিফ, হাদিস : ১৫৩৫)
৬. হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করার অর্থ হল,কোনো কিছুকে হালাল এবং হারাম ঘোষনা প্রদানের একচ্ছত্র অধীকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কাউকে হালাল এবং হারাম
কারী মনে করা শিরক ও কুফরী।যদি কেউ মনে করে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে
বলেন,
وَلاَ
يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ
ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের
দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ
مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً
قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও
কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা
ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি
দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া
কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
*কেউ যদি
কোনো হারাম কে অজ্ঞতাবসত হালাল মনে করে উক্ত কাজকে করে নেয়,তাহলে এই কাজ করা তার জন্য হারাম হয়েছে,কিন্তু সে কাফির হবে না।ইলম শিক্ষা ফরয
ছিলো, সে কেন শিখেনি,এর জন্য তার গোনাহ হবে।
যেহেতু উক্ত ব্যক্তি হারাম কাজকে হারাম মনে করে বিধায়
তাকে কাফের বলা যাবে না। কিন্তু কোন প্রকৃত ঈমানদ্বার ব্যক্তি গোনাহের কাজ করার পরে
আনন্দ বা খুশী হতে পারে না । কারণ,যারা গোনাহ করার পরে অনুত্প্ত বা অনুশোচনা প্রকাশ করে
তাদের সহজে তওবা নসীব হয়। কিন্তু যারা গোনাহ করার পরে আনন্দিত হয় তাদের সহজে তওবা করার
নসীব হয় না ।