উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
.
(০১) শরীয়তের বিধান হলো এমন দরুদ ও সালাম,যেখানে রাসুল সাঃ কে হাজির নাযির মনে করা যায়,এমন কোনো শব্দই ব্যাবহার করা হয়নি,এবং ব্যাকরনগত দিক দিয়েও কোনো ভুল নেই,এমন দরুদ ও সালাম পড়া যাবে।
অন্য কোনো দরুদ ও সালাম পড়া যাবেনা।
সুতরাং ইয়া নবী সালামু আলাইকা, ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা.... বলা বিদয়াত।
(দারুল উলুম দেওবন্দ এর ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত ৮৫৫৯ নং ফতোয়া)
(০২)
الصلوۃ والسلام علیک یارسول ﷲ‘
(আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ...)
এটা বলে যদি রাসুল সাঃ কে হাজির নাযিরের বিশ্বাস না রাখে,তাহলে এটা বলা জায়েজ আছে। অন্যথায় নাজায়েজ ।
নাজমুল ফাতওয়া ১/১৬৬
(০৩) . আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা রাসুলিল কারিম।
রাসুল সাঃ কে হাজির নাযির বিশ্বাস না রেখে এটা পড়লে তখন এটা জায়েজ হবে,অন্যথায় নাজায়েজ ।
★ রাসুল সাঃ এর উপর সালাম জানাতে হলে আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওসসালাতু ওসসালামু আলা রাসুলিল কারিম।
ইত্যাদি পদ্ধতিতে সালাম জানাতে হবে।
তাহলে কোনো সমস্যা হয়না।
,
আমরা যে নামাজের ভিতর তাশাহুদ পাঠ করি,এক্ষেত্রে আমরা যেই বাক্যে রাসুল সাঃ এর জন্য সালাম প্রেরণ করি,রাসুল সাঃ প্রতি হাযির নাযির বিশ্বাস না করলে এটাই রাসুল সাঃ জন্য বেশি বেশি পড়া উচিত।
,
তাশাহুদঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু। (বুখারী, মিশকাত পৃঃ ৮৫)
,
এখানে সালাম বলতে "আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু"
আমরা এটা পড়তে পারি।