আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
কোন  একটা ছেলে- মেয়ের শর্তযুক্ত তালাকের মাধ্যমে সহবাসের পূর্বেই এক তালাক  বায়েন হয়ে  যায় প্রায়  এক বছর আগে।
অনেক মাস হয়ে যাওয়ায় মেয়েটার মনের  ভিতর  শয়তান  কর্তৃক বিভিন্ন  ওয়াসওয়াসা  আসতে থাকে, তাই সে  তার পূর্বের স্বামীকে একদিন জিজ্ঞেস  করে  সে তালাকের  শর্তের সাথে
যতবার- ততবার,যখন-তখন এসব উল্লেখ  করেছিলো কিনা ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে  বলতে।

"সেই ছেলে উত্তর দিয়েছিল,সে এভাবে  কখনোও বলেছে বলে তার মনে পড়ে না।
তার স্মৃতিতে এমন কিছু   সে কখনোও বলছে এমন ধরা পরতেছে না।সেদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল সে আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিল।"

★এর কিছুদিন পর,ঐ মেয়েটা, ছেলেটাকে পুনরায়  ঐ একই প্রশ্ন আবার  মোবাইল  ফোনের মাধ্যমে  করে,এবার ছেলেটা বিরক্তিতে অথবা  রাগে অথবা  স্বাভাবিক  অবস্থায়  বলে আমি ১০০ % গ্যারান্টি না দিলে কি হবে?আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারবো না।★

"ঐ দিনই কয়েক ঘন্টা  পর মেয়েটা,ছেলেটাকে ফোন দিয়ে  বলে,তুমি প্রথম  দিন  যা বলেছো,আমি তাই ধরে নিবো,তোমাকে  আর কোনদিন  এসব নিয়ে আর কোন প্রশ্ন  করবো না।

ছেলেটা,মেয়েটার এই কথার প্রেক্ষিতে কোন প্রতিবাদ করে নাই, বরং ছেলেটা  বলেছে আমাকে এসব আর কোনদিন  জিজ্ঞেস  না করলেই  আমি খুশি। "

★★★ এখন  মেয়েটা কি ধরে নিবে??? ছেলেটা যে এমন কথা বললো,এখন মেয়েটা কি ধরে  নিবে????

মেয়েটার ও এমন কোন  কথা ছেলেটা বলেছিলো বলে,মনে পড়ে না।
মেয়েটা এমন কিছুই মনে করতে  পারে না,বেশি ভাবতে গেলে খালি ওয়াসওয়াসা  আসে।মনে হয় বলেছিলো নাকি বলে নাই,এরপর গা ঘেমে যায়,মাথা গরম  হয়ে  যায়, অস্থির  লাগে,কান্না আসে।

মেয়েটা যদি  পূূর্বের ঘটে যাওয়া তালাক  নিয়ে  আর কখনোও কোন আলোচনা,কোনো জিজ্ঞাসা তার  পূর্বের  স্বামীর সাথে না করে এতে কি কোন সমস্যা  হবে?

★★★তাদের  পুনরায়  বিয়ে  হলে,সেই মেয়েটা সেই কাজটা নির্ভয়ে করতে পারবে কি?

কোন  সমস্যা  হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে সেই শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

واذا اضافه إلى الشرط، وقع عقيب الشرط اتفاقا، مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق، (الفتاوى الهندية، الفصل الثالث فى تعليق الطلاق-1/420، الهداية، كتاب الطلاق، باب الأيمان فى الطلاق-2/385، تبيين الحقائق، باب التعليق-3/109)
সারমর্মঃ
যদি তালাককে কোনো শর্তের সাথে যুক্ত করে,তাহলে শর্ত পাওয়ার পরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
যেমন কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি যদি ঘরে প্রবেশ করো,তাহলে তালাক।

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরয় রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধুমাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ করা ঠিক হবেনা।
তাদের  পুনরায়  বিয়ে  হলে,সেই মেয়েটা সেই কাজটা নির্ভয়ে করতে পারবে,
কোন  সমস্যা  হবেনা।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...