জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح :
‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।
বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ
ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।
এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১ম বার আপনি যখন লিঙ্গ ধুয়ে নিয়েছিলেন,সেই সময়ে কি লিঙ্গে/অন্তর্বাসে মযি/পেশাবের কোনো চিন্হ ছিলো কিনা?
যদি কোনো চিন্হ পাওয়া যায়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ আপনার হয়নি।
কেননা আপনি সেই সময়ে লিঙ্গ ধুয়ে অন্তর্বাসে শুধু পানি ছিটিয়ে দিয়েছেন,যার দ্বারা সেটি নাপাকই থেকে গিয়েছিলো।
তাই সেই কাপড়ে নামাজ হবেনা।
,
আর যদি লিঙ্গে/অন্তর্বাসে মযি/পেশাবের কোনো চিন্হ না পেয়ে থাকেন,তাহলে পরের বার কিছু বের হওয়া সম্পর্কে আপনার সন্দেহ হলে কোনোক্রমে নিশ্চিত না হতে পারলে,যেহেতু আপনি সেই সম্পর্কে নিশ্চিত নন, তাই উক্ত নামাজ হয়ে যাবে,বলে ধরা হবে।
,
(০২)
এ সমস্ত ওয়াসওয়াসা কে আপনি এড়িয়ে চলবেন।
,
(০৩)
যদি কোনো আওয়াজ বা দুর্গন্ধ না পান,সেক্ষেত্রে মনের প্রবল ধারনার ভিত্তিতে আমল করতে পারবেন।
,
(০৪)
এগুলো এড়িয়ে চলা,আর বেশি বেশি এহেন অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া।
(০৫)
যেহেতু আপনি সেই সময়ে প্যান্ট পরিহিত অবস্থাতে ছিলেন,সুতরাং সেই এক ফোটা তরল নাপাকি আপনার বিছানা, চাদর,কাপড়ে যে তাহা লাগেনি,এটি নিশ্চিত।
সুতরাং সেগুলো ধোয়া লাগবেনা।