আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পবিত্রতা (Purity) by (96 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আমার জুতো দিয়ে তেলাপোকা মেরেছিলাম, এরপর তেলাপোকা ভেতরের আঠালো কিছু অংশ বের হয়ে মাটিতে আর আমার জুতায় লেগে যায়। এগুলোকে কি বলে আমি ঠিক জানিনা, সম্ভবত তেলাপোকার নাড়িভুঁড়ি ছিল, এগুলো কি নাপাক? এই নাপাকি আমার জুতায় লেগে হয়তো ঘরের আরও অনেক জাগায় ছড়িয়েছে, সেগুলো কি করব?

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে নাজাসাতে খফিফা কাপড়ের চার ভাগের একভাগ অর্থাৎ একভাগের অধিক জায়গা জুড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়ে যায়। শরীরের কোনো অঙ্গের চারভাগের একভাগ বা একভাগের বেশী জায়গায় লাগলে শরীরও নাপাক হয়ে যায়।

আর নাজাসাতে গলিজা এক দিরহামের চেয়ে কম মাফ।
এর বেশি হলে সেটি মাফ নয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن أبي هريرة عن النبي ﷺ قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ  বলেছেন, এক দিরহাম পরিমাণ রক্তের কারণে নামায পুনরায় আদায় কর। (সুনানে বায়হাকী কুবরা ৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস ১০৭৮৩)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত তেলাপোকার নাড়িভুঁড়ি নাপাক।
এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু জুতায় লেগে তাহা ঘরের অনেক জায়গায় ছড়িয়েছে, তাই ঘরের যে জায়গায় সেই নাপাকির চিন্হ পাওয়া গেলে সেই স্থানটিকে নাপাক ধরা হবে।
সেই স্থানটি পানি দিয়ে ধুয়ে পাক করতে হবে।
,
যদি সেই নাপাকির চিন্হ না পাওয়া যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
ঘরের সেই স্থান গুলি নাপাক হবেনা। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 56 views
0 votes
1 answer 76 views
0 votes
1 answer 79 views
...