بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
আমরা https://ifatwa.info/17289/?show=17289#q17289 ফতওয়াতে উল্লেখ করেছি যে, শরীয়তের
বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। (-সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২)
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ
يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ
بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ
دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا
ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার
(যাকাত) গ্রহণ করতেন। (ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩। দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বিশ দিনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরজ নয়। যদি
কোন ব্যক্তির কাছে ২০ দিনার পরিমাণ স্বর্ণ একবছর যাবত থাকে, তবে
তার জন্য অর্ধ দিনার যাকাত দিতে হবে। এরপরে যা বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব ওইভাবেই হবে’
(সুনান আবু দাউদ)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই,
১. যদি কোন ব্যক্তির কাছে শুধু স্বর্ণ থাকে রুপা বা টাকা পয়সা
না থাকে, তাহলে
ঐ ব্যক্তির স্বর্ণ নেসাব পরিমাণ হলে যাকাত ওয়াজিব হবে অন্যথায় হবে না। তবে প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে যেহেতু টাকা ও স্বর্ণ উভয়টি আছে বিধায় সব মিলিয়ে যদি সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার
মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়,তাহলে নেসাব পরিমান
হওয়ার পর এগুলোর উপর তার মালিকানার এক বছর
পূর্ণ হলেই তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
২.জ্বী ব্যবহৃত হোক বা অব্যবহৃত হোক উভয় প্রকারের অলংকার যাকাতের
নেসাবের মধ্যে গন্য হবে। বিধায় যেসব স্বর্ণ
ব্যবহার করা হয় তাও যাকাতের হিসাবে পরিগণিত হবে।
আরো বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/5680