بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
ভুলবশত, অপারগ হয়ে কিংবা অতি বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে
না পারলে পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে দিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা
হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায়
করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার
কাজা আদায় করতে হয় না।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন করেন,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
كِتَابًا مَّوْقُوتًا
‘নামাজ
মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। ’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)
তাই কোনো ওজর ব্যতীত নামাজ সময় থেকে দেরি করা জায়েজ নেই।(বুখারি, হাদিস: ৪৯৬)
কোনো
ওজর বা অপারগতার কারণে নামাজ সময়মতো আদায় করতে না পারলে উক্ত অপারগতা শেষ হওয়ার পর
ওই নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ। (বুখারি, হাদিস : ৫৬২)
ফরজের
কাজা ফরজ। আর ওয়াজিবের কাজা ওয়াজিব। (বুখারি, হাদিস : ১৮১৬)
সুন্নত
আর নফলের কাজা করবে না। তবে সুন্নত বা নফল নামাজ আরম্ভ করার পর ভেঙে গেলে তা কাজা করা
আবশ্যক। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৩৩; তিরমিজি,
হাদিস : ৬৬৭)
যদি ফজরের
সুন্নত ফজরের ফরজসহ কাজা হয়ে যায়, তবে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে আগে
ফরজের সঙ্গে সুন্নতও কাজা করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫)
যদি কাজা
নামাজ বেশি হয় তখন কাজা পড়ার সময় প্রতিটি নামাজকে পৃথকভাবে কাজা করতে হবে। যদি নির্ধারণ
করা কষ্টসাধ্য হয়, তবে এভাবে নিয়ত করবে যে- আগে ছুটে যাওয়া জোহরের
নামাজ পড়ছি বা পরে ছুটে যাওয়া জোহর বা আসর পড়ছি। (বুখারি, হাদিস
: ১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত বর্ননামতে আপনার জন্য ফজরের নামাজ আদায় করে নিলেই
হবে পুনরায় অন্যান্ন ওয়াক্তের নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই । তবে আপনি যদি সাহেবে তারতীব
হয়ে থাকেন অর্থাৎ যার
বালিগ হওয়ার পর জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২
ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি
সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে
সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে
পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য নামাজের তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।
অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায়
করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।