আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
কোনো কারণে অনিচ্ছায় ফজরের নামাজ কাযা হয়ে গেছে, জোহরের নামাজের সময়ে কাযা আদায় করতে মনে নাই, সারাদিন পার হওয়ার পর রাতে ঘুমানোর সময়ে মনে পড়ে যে ফজর কাযা করে নাই,  এখন কি সব নামাজ আবারও কাযা আদায় করতে হবে কিনা,  নাকি শুধু ফজর করলেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

ভুলবশত, অপারগ হয়ে কিংবা অতি বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে দিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার কাজা আদায় করতে হয় না।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন করেন,

إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

 ‘নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। ’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)

তাই কোনো ওজর ব্যতীত নামাজ সময় থেকে দেরি করা জায়েজ নেই।(বুখারি, হাদিস: ৪৯৬)

 কোনো ওজর বা অপারগতার কারণে নামাজ সময়মতো আদায় করতে না পারলে উক্ত অপারগতা শেষ হওয়ার পর ওই নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ। (বুখারি, হাদিস : ৫৬২)

 ফরজের কাজা ফরজ। আর ওয়াজিবের কাজা ওয়াজিব। (বুখারি, হাদিস : ১৮১৬)

 সুন্নত আর নফলের কাজা করবে না। তবে সুন্নত বা নফল নামাজ আরম্ভ করার পর ভেঙে গেলে তা কাজা করা আবশ্যক। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৩৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৬৭)

 যদি ফজরের সুন্নত ফজরের ফরজসহ কাজা হয়ে যায়, তবে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে আগে ফরজের সঙ্গে সুন্নতও কাজা করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫)

 যদি কাজা নামাজ বেশি হয় তখন কাজা পড়ার সময় প্রতিটি নামাজকে পৃথকভাবে কাজা করতে হবে। যদি নির্ধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়, তবে এভাবে নিয়ত করবে যে- আগে ছুটে যাওয়া জোহরের নামাজ পড়ছি বা পরে ছুটে যাওয়া জোহর বা আসর পড়ছি। (বুখারি, হাদিস : ১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত বর্ননামতে আপনার জন্য ফজরের নামাজ আদায় করে নিলেই হবে পুনরায় অন্যান্ন ওয়াক্তের নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই । তবে আপনি যদি সাহেবে তারতীব হয়ে থাকেন অর্থাৎ যার

বালিগ হওয়ার পর জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য নামাজের তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...