بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দ্বীন প্রচার করা আবশ্যক। প্রত্যেকেই
তার জ্ঞান, যোগ্যতা ও সাধ্যানুযায়ী দ্বীন প্রচারে অংশ গ্রহণ করবেন। দ্বীন প্রচার করার
জন্য আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ
করেছেন এবং এ জন্য অগণিত সুয়াবের কথা কুরআন-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ
وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
“তোমার
রবের পথে ডাক হেকমত এবং উত্তম উপদেশের মধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সবোর্ত্তম পন্থায়।”
(আন নাহাল: ১২৫)
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছিয়ে দাও।” (সুনান
তিরমিযী, সহীহ)
আল্লাহর দ্বীনকে প্রচার
করার মর্যাদা অনেক বেশি। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ
وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
“যে আল্লাহর দিকে
দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত,
তার কথার চেয়েউত্তম কথা আর কার হতে পারে??” (হা
মীম সাজদাহ: ৩৩)
“তোমার
মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা যদি একটি মানুষকেও হেদায়াত দেন তবে তা তোমার জন্য অনেক লাল
উঁট পাওয়া থেকে উত্তম।” (সহীহ বুখারী)
“যে ব্যক্তি
মানুষকে হেদায়েতের দিকে আহবান করে সে ব্যক্তি ওই সকল লোকের মতই সোয়াবের অধিকারী হয়
যারা তা অনুসরণ করে। কিন্তু যারা অনুসরণ করে তাদের সোওয়াবের কোন ঘাটতি হবে না।” (সহীহ
মুসলিম)
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তি
তার সাধ্য অনুযায়ী দাওয়াতী কাজ এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎকর্মে নিষেধ’ এর জন্য নির্দেশিত।
সাধ্য থাকার পরও কেউ যদি এ দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সে গুনাহগার হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে দাওয়াতী কাজ করার ব্যাপারে উম্মতের
প্রত্যেক ব্যক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। কে কত বড় দায়ী এটা দেখার বিষয় নয় । বরং আমরা
এখনো কতজন ভাই বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছাতে পারিনি এটা ফিকির করার বিষয়। মুফতী
যোবায়ের সাহেবের থেকেও বড় দায়ী বাংলাদেশে থাকতে পারে তবে আল্লাহ তায়ালা হজরতকে দেশ
ও দেশের বাহিরে দাওয়াতী কাজের জন্য এমন ভাবে কবুল করেছেন যে, তিনি দল মত নির্বিশেষে
সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন ব্যক্তি।
মুফতি ইসমাঈল হোসাইন সিরাজী দা:বা: কে আমরা ভালোভাবে চিনি না।
হক্কানী উলামায়ে কেরাম যদি তার সম্পর্কে সুধারণা রাখেন ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের
মধ্যে মনে করেন তাহরে তার থেকে ইলম অর্জন করাতে কোন সমস্যা নেই।