আসসালামু আলাইকুম।সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। এবং আল্লাহ র কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাই।
শয়তান সবসময়ই আমাদের ঈমানকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য কুমন্ত্রণা দেয়। হয়ত তার এ কুমন্ত্রণা আমাকে বেশি দেয়া হয়।
কুরআনের প্রায় প্ৰর্তিটা আয়াতের বাংলা অর্থ পড়তে গেলে কোনো না কোনো কুমন্ত্রণা মনের ভিতরে দিতেই থাকে।
এমনকি কোন হাদিস পড়লে সেটার ভুল খুঁজে বের করে দেয় নানা রকম কুমন্ত্রণা দেয় ।
সবচেয়ে বেশি যে কুমন্ত্রণা দেয়, সেটা হচ্ছে, কুরআন কি আল্লাহর বাণী নাকি নাবী মুহাম্মাদ (সা.) এর বাণী (নাউযুবিল্লাহ)(আল্লাহ হেদায়েত দান করুন, আমিন)?
1. কুরআনে আল্লাহপাক কেন নিজেই নিজের প্রশংসা করেছেন?
প্রথমেই যে আয়াতটি আছে সেটা হচ্ছে বিসমিল্লাহি রহমানির রহিম যার অর্থ হচ্ছে শুরু করছি পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।
অনেকে বলে এটা কুরআনের একটা আয়াত, আবার অনেকেই বলে এটা কোরআনের কোন আয়াত নয়।
আচ্ছা ঠিক আছে মেনে নেয়া যদিও যাই যে, এটা কুরআনের আয়াত নয়।
কিন্তু তারপর সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত , কিংবা পুরো সূরা ফাতিহা।
যেটা শুনলে মনে হয় যে এটা একটা দোয়া।
আল্লাহ পাক নিজেই দোয়া করবে, এই বিষয়টা নিয়ে শয়তান কুমন্ত্রণা দেয়।
যদি এরকমটা হতো, আল্লাহ পাক যদি অন্যান্য আয়াতের মত বলতেন যে, হে নবী আপনি আমার কাছে এভাবে দোয়া করুন ও এভাবে অন্যদের দোয়া করার শিক্ষা দেন। তারার সূরা ফাতিহা বা বিসমিল্লাহ দিয়ে আৰম্ভ হলে শয়তান এরকম কুমন্ত্রণা দেয়ার সাহস ওয়েট না যে, এটা নবীর বাণী (নাউযুবিল্লাহ).
শয়তানের কুমন্ত্রণা মোতাবেক, আল্লাহকেন বলবেন যে, শুরু করছি পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। যিনি কিয়ামত দিবসে মালিক। যিনি পরম করুণাময়। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমার একমাত্র আপনারই ইবাদত করি ও আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সঠিক সরল সুন্দর পথ দেখান। খারাপ লোকের পদ নয়। ভাল লোকের পথ । যাদের আপনি নকরুণা দান করেছেন।
এই কথাগুলো আল্লাহ কেন বলবেন।
এই কথাগুলো তো সাধারণত এঅন্য একজন মানুষ আল্লাহর কাছে বলে দোয়া করতে পারে। এটা কি করে আল্লাহর বাণী হয়।
আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহ আমাকে সঠিক সহজ সুন্দর পথ দেখান। সঠিক ভাবে বুজতে সাহায্য করুন। আমিন।
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক অনেকটা আগের প্রশ্নের অনুরূপ যে, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে কখনো সরাসরি বলেছেন যে, আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি।(অনুরূপ কথা) যেখানে আমি বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
আবার কখনো বলেছেন যে, আল্লাহ ভাল জানেন বা আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন বা আল্লাহ সর্বশক্তিমান। অর্থাৎ এখানে পরোক্ষভাবে কথা বলেছেন।
যা সাধারণত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কথা অন্য কেউ হলে এরকমভাবে বলে থাকে, যে, "আল্লাহ ভাল জানেন।"
এক কথায় বললে আমার প্রশ্ন বা শয়তানের কুমন্ত্রণা হচ্ছে যে, আল্লাহ কেন বলবেন যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান!
যেহেতু পবিত্র কোরান আল্লাহর মুখের সরাসরি বাণী। সেহেতু আল্লাহ বলতে পারেন যে, আমি সর্বশক্তিমান কিংবা বলতে পারেন যে, হে নবী তুমি বল, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
আমার আরেকটি প্রশ্ন ছিল, সেটি হচ্ছে যে ,
বলা বয়ে থাকে ,পবিত্র কুরআন লাওহে মাহফুজে আগেই সংরক্ষিত আছে ও নবীর কাছে পর্যায়ক্রমে নাযিল হয়েছে।
আর,, মা আয়েশার সতীত্বের কথা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যখন মা আয়েশার গলার হার হারিয়ে গেছিল এবং সেটা খুঁজতে গিয়ে নবীজির কাফেলার পিছনে থেকে গিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে কিছু মানুষ মা আয়েশাকে করেছিলেন, এ ঘটনাটা আমরা সবাই জানি ।
এরপর আল্লাহর ওহী নাজিল করে জানিয়েছিলেন যে মা আয়েশার সতীত্বের কথা এবং সেটা ঘটনার মোটামুটি অনেক দিন পর জানিয়েছিলেন বা ওহী এসেছিল। মানে ঘটনার সাথে সাথেই আল্লাহপাক নবীজিকে মাধ্যমে জানান নি।
ঘটনার কিছুদিন পর আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন এবং নবীজী (স) সাহাবীদের সাথে এ নিয়ে পরামর্শ করতে বসেছিলেন। এক শাহাবি হয়ত আলী (রা),, তালাক দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
যাই হোক এ পরামর্শের কিছুদিন পর ওহী নাযিল হয় মা আয়েশার সতীত্ব এর ব্যাপারে।
তো এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, শয়তান আমাকে কুমন্ত্রণা দেয় যে, কুরআন যদি লাওহে মাহফুজে আগেই সংরক্ষিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তায়ালার এই যে মা আয়েশার সতীত্বের আয়াত সেতু আগে থেকেই সংরক্ষিত আছে সংরক্ষিত থাকে তাহলে সেটা ঘটনার পরপর নাজিল হলো না কেন কেন এত দেরি হল কেন সাহাবীদের সাথে নবীজির এর পরামর্শ প্রয়োজন হল।
তাছাড়া আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে যে এই আয়াতটি অর্থাৎ মা আয়েশার সতীত্বের ব্যাপারে আয়াত এটি লাওহে মাহফুজে আগেই সংরক্ষিত ছিল। আল্লাহতালা আগেই জানতেন যে এ রকম একটি ঘটনা ঘটবে ।
বিষয়টি যদি একটু বুজিয়ে বলতন।
আশাকরি প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছেন এবং প্রশ্নের জবাব শোনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশ বা সমগ্র বিশ্ব বা অলি-আল্লাহর কাছ থেকে বা যেখান থেকে সম্ভব,,,উত্তর শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এবং এগুলোর উত্তর অনেক অনেকদিন ধরে আমি খুঁজছি।
আমি জানি আমি যে প্রশ্নগুলো করছি সেগুলো হয়ত সহজ সাধারণ কোনো প্রশ্ন নয় ।
তবুও উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম এবং এপ্রুভ করার জন্য এডমিন সাহেবকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করা হল।
সত্যি বলতে, অনেক নাস্তিকের সাথে আমার পরিচয় আছে ল, হয়তোবা তারাও ঠিক এরকম প্রশ্নের সঠিক উত্তর না পেয়ে, মনকে না বুঝাত পেরে, নাস্তিক হয়ে গিয়েছেন।
তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি এখনো ভাল আছি এবং আল্লাহ তালার উপর যথেষ্ট বিশ্বাস আছে। আল্লাহকে লাখ লাখ শুকরিয়া যে আমি আল্লাহকে বিস্বাস করি।
গোটা বিশ্ব যদি এই প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারে, তার মানে এই নয় যে কোরান মিথ্যা। নাউজুবিল্লাহ।
এর মানে এটা আছে এর উত্তর আমরা এখন পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। হতে পারে আল্লাহতালার ইচ্ছাতেই এটা পাই নি। যাতে করে শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয়ার পথ থাকতে। পারে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এরকমটা কেন যেখানে বলেছেন যে আবার কিছু কিছু আয়াতে বলেছেন যে বল আল্লাহ এক অদ্বিতীয় এখানে বল উল্লেখ করেছেন তো যেখানে বলেছেন যে আল্লাহ ভাল জানেন আল্লাহ সর্বশক্তিমান সেখানে যদি সেরকম বল কথাটি উল্লেখ থাকতো অর্থাৎ বল আল্লাহ সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভাল জানেন
হুজুর, আপনাদের বলছি, যদি সঠিক কোনো উত্তর বা মাসালা থাকে প্লিজ দয়া করে জানাবেন কিংবা
01883970111 নাম্বারে SMS করার অনুরোধ রইল।