উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী “নাম রাখার মূলনীতি হচ্ছে- নবজাতকের যে কোনো নাম রাখা জায়েয; যদি না শরিয়তে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে।”
,
রিয়া শব্দের অর্থঃ প্রদর্শন, আত্মপ্রদর্শন।
ইবাদতের ক্ষেত্রে রিয়া শব্দের ব্যবহার হলে এর অর্থ দাড়ায় লোক দেখানো।
সুতরাং রিয়া নাম রাখা জায়েজ আছে।
,
★ ইয়াসীন,ছোয়াদ শব্দ যেগুলো দিয়ে কোরানে বিভিন্ন সুরা শুরু হয়েছে, এগুলো নাম হিসেবে রাখা জায়েজ আছে।
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে যেসমস্ত সুরার নাম আল্লাহর ছিফাতী নাম,তার শুরুতে আবদ শব্দ যুক্ত করে নাম রাখতে হবে।
,
যেমন ২৭ পাড়ার সুরা আর রহমান ।
এখানে রহমান নাম রাখা জায়েজ হবেনা।
আবদুর রহমান নাম রাখতে হবে।
,
উলামায়ে কেরামদের মতে ইয়াসিন ও তাহা হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম; সুতরাং ইয়াসিন ও তাহা নাম রাখা বৈধ (ফতোয়া মাহমুদিয়া জাদিদ, ১৯/৩৭১,৩৭২, )।
,
★আব্দুর রাজ্জাক জামেতে মামার রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হাম্মাদ ইবনে সুলাইমানকে জিজ্ঞেস করলাম, ফেরেশতাদের নামে বাচ্চাদের নামকরণ করা যাবে কিনা? তিনি বলেছেন তাদের নামে নাম রাখাতে কোন অসুবিধা নেই। (তুহফাতুল মাউদুদ বি আহকামিল মাউলুদ, পৃষ্ঠা ২০১)
ঠিক তেমনি নবীদের নামে নামকরণ করা, ফেরেশতাদের নামে নাম রাখা, তাহা, ইয়াসিন ইত্যাদি নামে নাম রাখা সম্পূর্ণ জায়েজ। (মুগনিল মুহতাজ: হজের অধ্যায়, আকিকা পরিচ্ছেদ,১/৩৯১)
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ইয়াসিন তহা ইত্যাদি কুরআনের সুরার নাম দিয়ে মানুষের নামকরণ করা মাকরুহ ।
তারা আল্লামা ইবনে কাইয়্যিমের কিতাব ‘আল মাউদুদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ফেরেশতা বা সূরার (যেমন তাহা, ইয়াসিন ইত্যাদি) নামে বাচ্চাদের নামকরণ করা মাকরুহ, কারণ এ নামগুলি বর্ণানুক্রমিক এবং এর অর্থ কেবল আল্লাহই জানেন। এগুলো নবিদের নামও নয়। (পৃষ্ঠা: ১০৯)
,
যেহেতু এই জাতীয় নাম রাখার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে,তাই সতর্কতামূলক
এমন নাম না রাখাই ভালো মনে করছি।