আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
রিয়া মানে লোক দেখানো এটা শিরকে আসগর। অনেকের নাম দেখা যায় রিয়া ।  আমার প্রশ্ন হলো রিয়া নাম কি রাখা যাবে? বা কারো নাম রিয়া রাখা হয়েছে। এখন তাকে অনেকে রিয়া বলে চিনে তাহলে কি তার নাম চেঞ্জ করতে হবে?

ইয়াসীন,ছোয়াদ শব্দ যেগুলো দিয়ে কোরানে বিভিন্ন সুরা শুরু হয়েছে, এগুলো কি নাম হিসেবে রাখা জায়েজ আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم 

,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  “নাম রাখার মূলনীতি হচ্ছে- নবজাতকের যে কোনো নাম রাখা জায়েয; যদি না শরিয়তে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে।”

,

রিয়া শব্দের অর্থঃ প্রদর্শন, আত্মপ্রদর্শন। 

ইবাদতের ক্ষেত্রে রিয়া শব্দের ব্যবহার হলে এর অর্থ দাড়ায় লোক দেখানো।  

সুতরাং  রিয়া নাম রাখা জায়েজ আছে। 
,
★ ইয়াসীন,ছোয়াদ শব্দ যেগুলো দিয়ে কোরানে বিভিন্ন সুরা শুরু হয়েছে, এগুলো নাম হিসেবে রাখা জায়েজ আছে।
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে যেসমস্ত সুরার নাম আল্লাহর ছিফাতী নাম,তার শুরুতে আবদ শব্দ যুক্ত করে নাম রাখতে হবে।
,
যেমন ২৭ পাড়ার সুরা আর রহমান ।
এখানে রহমান নাম রাখা জায়েজ হবেনা।
আবদুর রহমান নাম রাখতে হবে।   
,
উলামায়ে কেরামদের  মতে ইয়াসিন ও তাহা হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম; সুতরাং ইয়াসিন ও তাহা নাম রাখা বৈধ (ফতোয়া মাহমুদিয়া জাদিদ, ১৯/৩৭১,৩৭২, )।

,

★আব্দুর রাজ্জাক জামেতে মামার রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হাম্মাদ ইবনে সুলাইমানকে জিজ্ঞেস করলাম, ফেরেশতাদের নামে বাচ্চাদের নামকরণ করা যাবে কিনা? তিনি বলেছেন তাদের নামে নাম রাখাতে কোন অসুবিধা নেই। (তুহফাতুল মাউদুদ বি আহকামিল মাউলুদ, পৃষ্ঠা ২০১) 

ঠিক তেমনি নবীদের নামে নামকরণ করা, ফেরেশতাদের নামে নাম রাখা, তাহা, ইয়াসিন ইত্যাদি নামে নাম রাখা সম্পূর্ণ জায়েজ। (মুগনিল মুহতাজ: হজের অধ্যায়, আকিকা পরিচ্ছেদ,১/৩৯১)

,

তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ইয়াসিন তহা ইত্যাদি কুরআনের সুরার নাম দিয়ে মানুষের নামকরণ করা মাকরুহ ।

    তারা  আল্লামা ইবনে কাইয়্যিমের কিতাব ‘আল মাউদুদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ফেরেশতা বা সূরার (যেমন তাহা, ইয়াসিন ইত্যাদি) নামে বাচ্চাদের নামকরণ করা মাকরুহ, কারণ এ নামগুলি বর্ণানুক্রমিক এবং এর অর্থ কেবল আল্লাহই জানেন। এগুলো নবিদের নামও নয়। (পৃষ্ঠা: ১০৯)

,

যেহেতু এই জাতীয় নাম রাখার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে,তাই সতর্কতামূলক

এমন নাম না রাখাই ভালো মনে করছি।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...