আসসালামু আলাইকুম, শাইখ।
বিভাগ ক :
আমি এর আগে একবার প্রমিস করেছিলাম অনেকটা এভাবে "আল্লাহ, আমি কখনো অনলাইনে ভয়েস মেসেজ দিবো না।"
এখন আমার একটি ইম্পর্ট্যান্ট দ্বীনি ওয়ার্কশপে যেখানে শুধু ওস্তাযাই শুনে থাকেন, স্কলারশিপে রেকর্ডেড আলোচনা পাওয়ার জন্য ভয়েস মেসেজ দিতে হবে।
প্রশ্ন হলো
১) আমার ওই কথাটাকি আল্লাহর নামে কসম হয়েছে?
২)যদি হয়ে থাকে তাহলে এখন আমি তো একটি ভালো কাজের জন্য ভয়েস মেসেজ দিতে চাচ্ছি, এক্ষেত্রে কি আমি কসমটি ভাঙতে পারি?
৩)আমাকে কি এর জন্য কোনো কাফফারা দিতে হবে?
৪)আমি স্টুডেন্ট,কি কাফফারা দিতে হবে?
৫)এর আগেও হয়তো আমি না বুঝে এভাবে কসম করে ফেলেছি, আল্লাহর কাছে প্রমিস করেছি,যে অমুক কাজটি করবো না,কিন্তু কি কাজ মনে নেই।এক্ষেত্রে একবারে সবগুলার কাফফারা দিয়ে দিলেই কি হবে?মানে যেমন ৩ টি রোজা রাখলেই কি সবগুলার কাফফারা হয়ে ?
৬)এক্ষেত্রে কি কোনো সওয়াবের নিয়ত করা যাবে?এবং সবগুলা কাফফারার নিয়ত একসাথে করা যাবে কি
৭)কাফফারা আদায়ের পরই কি ভয়েস মেসেজ দিতে পারবো,তার আগে নয়?
৮)কাফফারা আদায় করলেও কি কবিরা গুনাহ হবে কসম ভঙ্গের জন্য?
বিভাগ খ:
আমার সাথে আমার বাবার একটু কথা কাটাকাটি হয় আজকে।তো এরপর বাবার সাথে কথা বলেছি, তবে মুখ ভার করে ছিলাম।
সন্ধ্যায় বাবা আবার কথা বললে আমি সেটার জবাব দিই নি।জবাব দরকারো ছিলো না,তাই।
পরে বাবা বাইরে চলে গেলে আমার মা আমাকে অনেকক্ষণ বকাবকি করে,চুপ করে থাকা ও কথা না বলার জন্য।কিন্তু আমি চুপ করে ছিলাম।কথা বলি নি।আমার চুপ করা দেখে মেবি মায়ের আরো রাগ উঠে গিয়েছিলো।তারপর এক পর্যায়ে আমার মা আমাকে লানত দিয়ে ফেলে। আমাকে বলে যে মা যতটা কষ্ট পায় তার থেকেও যেন বেশি কষ্ট আমি পাই।এমনকি আমি যেন সে কষ্ট সহ্য ও করতে পারি না।
মায়ের এভাবে দেয়া লানত কি কবুল হয়ে যাবে?
এর আগেও অনেক লানত দিয়েছে,সেগুলা কি আমার জীবনে প্রভাব ফেলবে?
আমার কি করা উচিত্ত?তারা রাগারাগি করলে যদি আমি চুপ থাকি, কখনো তর্ক না করি,শুধু বেশি কথা না বলি যদি তাহলেও কি তাদের লানত আমার ওপর বর্তাবে?
বিঃদ্রঃ তিনি আমার সৎ বাবা,কিন্তু আমাকে অনেক ভালোবাসেন।
আর এমন কথা আছে যে, যে যেমন করবে সে তেমন ফল পাবে,তাহলে যদি আমি মা বাবার কষ্ট না বুঝি, তাহলে কি আমার সন্তানরাও এমন হবে?
জাযাকাল্লাহ খায়ের