ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ
الرَّاكِعِينَ
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান
কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। ( সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
■ অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। (সূরা কাউসার, আয়াত ২)
■ হাদীস
শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ حَدَّثَنَا
الأَعْمَشُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ،
يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَلاَةُ الرَّجُلِ
فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ وَفِي سُوقِهِ خَمْسًا
وَعِشْرِينَ ضِعْفًا، وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ،
ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ، لَمْ يَخْطُ
خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ، وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ،
فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي
مُصَلاَّهُ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ. وَلاَ يَزَالُ
أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلاَةَ ".
মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির জামা’আতের সাথে সালাতের
সাওয়াব, তাঁর নিজের ঘরে বাজারে আদায়কৃত সালাতের
সাওয়াব দ্বিগুণ করে ২৫ গুন বাড়িয়ে দেয়া হয়। এর কারণে এই যে, সে যখন
উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করল, তারপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে
রওয়ানা করল তখন তাঁর প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি
গুনাহ মাফ করা হয়। সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে
থাকে, ফিরিশতাগণ তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকেন-
“হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুণ এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুণ। “আর
তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতরত বলে গণ্য হয়।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬১৮)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, এভাবে
আপনাদের জামাতে সালাত আদায় করা জায়েজ হবে।
২. হ্যাঁ, জামাতে
সালাত আদায়ের সওয়াব পাবেন এবং কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে মসজিদে যাওয়ার যে
আলাদা ফজিলত রয়েছে তা থেকে মাহরুম হবেন।
৩. জামাত তরকের আলাদা কোনো গুনাহ নেই। বরং
একা একা নামাজ পড়লে জামাতের সওয়াব থেকে মাহরুম হবে।