ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ
إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা
নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয়
মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর ও মাথা মাসেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ।
(সূরা মায়িদা, আয়াত ৬)
■ ওজুর ফরজ
চারটি: ১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা। ২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা। ৩. মাথার
চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা। ৪. পদযুগল গিটসহ ধৌত করা।
■হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،
قَالَ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً مَرَّةً.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক উযূ (ওজু/অজু/অযু)-তে একবার
করে ধুয়েছেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-
১৫৯)
■ হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ،
أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ
أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ
عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي
الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ
إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ
رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ
صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ
مِنْ ذَنْبِهِ ".
হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ‘উসমান
ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির
পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের
মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর
মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ
করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর দু রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায়
করবে, যাতে
দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের
গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী ১৬১)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, নামাজের মধ্যে থুথু বা থুথু জাতীয় গিলে ফেললে নামাজ ভাঙ্গবে না।
২. ওজু করার সময় এক
অঙ্গ ধৌত করার পর হাতে যে অবশিষ্ট পানি লেগে থাকে, সেই হাতেই নতুন পানি নিয়ে আরেক অঙ্গ ধৌত
করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
৩. না, এতে ওজুতে কোনো সমস্যা হয় না।
৪. না, এতে ওজু ভাঙ্গবে না। তবে এভাবে বারবার হাত ধৌত করার কোনো প্রয়োজন নেই।
৫. হ্যাঁ, সেই পানিতে পা ধৌত করলে ওজু হবে। এতে কোনো সমস্যা
নেই।
৬. তিনবার কলের নিচে পা নিয়ে ধৌত করবেন।
তবে একবার ধৌত করলেও ওজু হয়ে যাবে।
৭. না, ওজু করার মাঝে বা ওজু করার পর, ও নামাজের মাঝে অনিচ্ছাকৃত
ভাবে হাত বা পায়ের আঙ্গুল ফুটলে ওজু ও নামাজ ভাঙ্গবে না।
৮. ওজু হয়ে যাবে।
৯. ওজুর ফরজ গুলো শুধু পালন করলেও ওজু হয়ে যাবে। আর ওজুতে বিসমিল্লাহ বলা ফরজ নয়।
১০. নামাজের আগে ও মাঝে উভয় অবস্থাতে চুল বের
হয়ে গেলে আর এই অবস্থায় নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।