উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো হারাম উপাদান দিয়ে প্রস্তুতকৃত কোনো কসমেটিকস বা মেডিসিন ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
সুতরাং যে সমস্ত ই-কোড উক্ত কসমেটিকস বা মেডিসিনে হারাম বস্তু মিশ্রণের ইঙ্গিত বহন করে,সে সমস্ত কসমেটিকস, ঔষধ ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
يا ايها الذين امنوا إنما الخمر والميسر .. رجس من عمل الشيطان فاجتنبوه لعلكم تفلحون
হে ইমানদারগন নিশ্চয়ই মদ,,,,,, হারাম। এগুলো শয়তানের কাজ। তাই তোমরা ইহা থেকে হেফাজত থাকো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।
★তবে যদি কোনো মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেন যে উক্ত মেডিসিন ব্যাতিত এই রোগের কোনো ঔষধ নেই,তখন উক্ত হারাম উপাদান মিশ্রিত ঔষধ ব্যবহার করা জায়েজ হবে।
(উল্লেখ্য যে হারাম উপাদান দিয়ে প্রস্তুতকৃত কসমেটিকস ব্যবহার কোনো ক্রমেই জায়েজ হবেনা।)
তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম গ্রন্থে আছেঃ
أکثر مشائخ الحنفیۃ أفتوا بجواز التداوي بالحرام إذا أخبرہ طبی حاذق بأن المریض لیس لہ دواء آخر…، الاستشفاء بالحرام یجوز إذا علم أن فیہ شفاء ولم یعلم دواء آخر…، قولہ علیہ السلام: ’’إن اللّٰہ لم یجعل شفاء کم فیما حرّم علیکم‘‘۔ إنما قال ذٰلک فی الاشیاء التي لا یکون فیہ
شفاء، فأما إذا کان فیہ شفاء فلا بأس بہ۔ (تکملۃ فتح الملہم ۲؍۳۰۲-۳۰۳ المکتبۃ الأشرفیۃ دیوبند)
যার সারমর্ম হলো যখন কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার এটা বলে যে এই রোগের অন্য কোনো ঔষধ নেই,তাহলে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা গ্রহন জায়েজ হবে,, ।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
یجوز للعلیل شرب الدم والبول وأکل المیتۃ للتداوي إذا أخبرہ طبی مسلم إن شفاء ہ فیہ، ولم یجد من المباح ما یقوم مقامہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۳۵۵)
অসুস্থ ব্যাক্তির চিকিৎসার জন্য রক্ত, পেশাব,মৃত জানোয়ার খাওয়া জায়েয আছে। যখন কোনো মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তার বলবে যে নিঃসন্দেহে এই রোগের চিকিৎসা শুধুমাত্র এই ঔষধের মধ্যেই আছে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
التداوی بالمحرم: ظاہر المذہب المنع لکن نقل المصنف ثمہ وہنا عن الحاوي: وقیل یرخص إذا علم فیہ الشفاء ولم یعلم دواء آخر کما رخص للعطشان وعلیہ الفتویٰ۔ (الدر المختار مع الشامي ۱؍۳۶۵ زکریا)
অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি বলে যে এই রোগের অন্য কোনো ঔষধ নেই,তাহলে হারাম উপাদান দিয়ে প্রস্তুতকৃত ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা জায়েজ আছে।