বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযে দু'আ এবং বাংলায় দু'আ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/185
আপনি নামাযের বাহিরে দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ এমন দু'আ করবেন।নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে হানাফি কোনো কোনো ফকীহ অনুমোদন ও দেন।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযের সিজদায়,বা দুই সিজদার মাঝখানে কিংবা সালাম ফিরানোর পূর্বে কুরআন-হাদীসে বর্ণিত আরবীতে দু'আ করা যায়। বাংলাতে দু'আ করার সাধারণত কোনো নিয়ম নাই।তবে হ্যা, বাংলাতে দু'আ করার বিষয়ে কোনো কোনো ফকিহ অনুমতিও দিয়ে থাকেন।
নামাযে কান্না করার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431
(২)
আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।
আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত।এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২)বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1300
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
একই রাকাতে অনেক সূরা যদি কেউ পড়ে, তাহলে প্রত্যেক সূরার প্রথমে বিসমিল্লাহ নিম্নস্বর বলা যাবে।বলাই উত্তম।তবে সুন্নত না।
(৩)
কুরআন তরজমার জন্য মুফতি তাকী উসমানি দাঃবাঃ কর্তৃক রচিত ''তাওযিহুল কুরআন" পড়তে পারেন।তাছাড়া মুহি উদ্দিন খান অনূদিত "মা'রিফুল কুরআন" কিতাবখানাও পড়তে পারেন।
সিরাহের জন্য, "আর-রাহিকুল মাখতুম" কিতাবখানাও পড়তে পারেন। তাছাড়া ইদরিস কান্দলভী দাঃবাঃ কর্তৃক রচিত "সীরাতে মুস্তাফা" কিতাব খানাও পড়তে পারেন।
(৪)
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। আপনি কমেন্টে পরিস্কার করে উল্লেখ করবেন।আমি যতটুকু বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি,
আপনি উপরোল্লিখিত কিতাবাদি পড়তে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা নাই।
(৫)
ইসলামিয়া কুতুবখানার কুরআন ক্রয় করতে পারেন। তাছাড়া আরো অনেক প্রকাশনীর কুরআনের ফ্রন্ট বিশুদ্ধ রয়েছে।
(৬)
সালাম ফিরানোর পর তাসবিহাতে ব্যস্ত থাকাই সুন্নাহ।হ্যা, আপনি প্রয়োজনে যে কারো সাথে কথা বলতে পারবেন।
(৭)
দাওয়াত দিতে গিয়ে নির্দিষ্ট কারোর নির্দিষ্ট কোনো গোনাহ বা নিজের কোনো নির্দিষ্ট গোনাহকে প্রকাশ করা জায়েয হবে না।হ্যা, দাওয়াত ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য আকারে ইঙ্গিতে অনির্দিষ্ট ভাবে ইশারা ইঙ্গিত করা যাবে।
(৮)
না, রাখা যাবে না।
(৯)
নোমান আলী খান সম্ভবত সালাফি মানহাযের লোক।তাই উনার থেকে দ্বীনের দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে, তবে নির্দিষ্ট মাযহাব ফলোকারীর জন্য উনার ফিকহি আলোচনাকে গ্রহণ করা যাবে না।
(১০)
যেহেতু এতে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এত্থেকে মুসলমান ছাত্রীদেরকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে। স্যারের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা,দেখা করা, সবই নাজায়েয ও হারাম বলে বিবেচিত হবে,যদিও পর্দা মেন্টেইন করে হোকনা কেন?
(১১)
জ্বী, সহবাস ব্যতিত শুধুমাত্র মনি বের হলেই মহিলার উপর গোসল ফরয হয়ে থাকে। মযি বা ওদী বের হলে, উক্ত স্থানকে ধৌত করে নিলেই হবে, এক্ষেত্রে গোসল করতে হবে না।
(১২)
দায়ী যিনি হবেন, উনার আ'মল উন্নত হতে হবে। যাকে দাওয়াত দেওয়া হবে, তার সাথে উত্তম ও সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। তার মন-মানষিকতা বুঝে তাকে হেকমতের সাথে দাওয়াত দিতে হবে। মানুষের ভয় না দেখিয়ে আশার বাণী শোনাতে হবে।
(১৩)
দাওয়াত ও তাবলীগের জন্য বড় আলেম হওয়া শর্ত নয়। বরং যতটুকু জানা থাকবে, ততটুকুরই দাওয়াত পৌছানো একজন মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। হ্যা, ওয়াজ করা,ফাতাওয়া প্রদান করা ইত্যাদির জন্য অবশ্যই ভালো আলেম হতে হবে।
(১৪)
কাল্পনিক মানুষের গল্পকে সত্য ও বাস্তব রূপে প্রকাশ করা নাজায়েয ও হারাম।হ্যা, কাল্পনিক গল্পকে কাল্পনিকভাবে উপস্থাপন করলে এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(১৫)
ভুল না হওয়া সত্বেও আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা চাওয়া, এটা ভুল বা অশুদ্ধ নয়, বরং এটা পূর্ণ ঈমানের পরিচায়ক।
(১৬)
আপনি যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে প্রতিজ্ঞা করে থাকেন, তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না।কিন্তু আল্লাহর নাম নিয়ে প্রতিজ্ঞা করলে, কাফফারা দিতে হবে।
(১৭)
জ্বী, উনি শেষবারের মত বলে আসতে পারবেন।