আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

 ১.গোলাম ফারুক নামটি কি রাখা ঠিক হয়েছে  নাকি অর্থ গত ত্রুটি আছে? থাকলে কি করা উচিত?
২.রুকুতে দৃষ্টি কোথায় থাকবে?? সেজদার জায়গায় না পায়ের আঙুলে??
৩.সাহু সেজদা তো সালামের পর ২ সেজদা দিলে হয়ে যাবে তাই না উস্তাদ??
৪. ব্যাংকে টাকা রাখতে চাই না কিন্তু বাসায় টাকা রাখা সেইফ না কয়দিন পরপর চুরি ডাকা হয় আমাদের বিল্ডিং এ সেক্ষেত্রে কি করবো?? কোথায় রাখবো?? আর টাকা গুলো নানুর আমানত।
৫. ইসলামিক ব্যাংক গুলো কি আসলেই ইসলাম মেনে লেন দেন করে??চট্টগ্রাম বা ঢাকায় এমন ভালো কোনো ব্যাংক থাকলে প্লিজ বলুন।

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও কাগজ কলমে ইসলামী পদ্ধতিতে চলবে বলে লেখা থাকে তবে তারা সেভাবে চলে না। ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রায় সকল শাখাই কোনো না কোনো ভাবে সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন-

واحل الله البيع و حرم الربوا.

"আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)

 সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসুত : ১/২৮)

পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরো নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে। হানাফী-মাযহাবে এটাকে মুসতাহাব বলা হয়েছে। ফরজ-ওয়াজিব বলা হয় নি। সুতরাং এটি আবশ্যকীয় কোনো বিধান নয়।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

. হ্যাঁ, গোলাম ফারুক নাম রাখা যাবে এর অর্থ হলো: ( গোলাম = বান্দা; ফারুক = হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্যকারী )

. ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন: রুকু অবস্থায় দৃষ্টি থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে।

৩. সাহু সেজদার নিয়ম হলো, তাশাহুদ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরানোর পর দুই সেজদা দিতে হয়। তারপর তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়ায়ে মাছুরা শেষ করে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।

৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে টাকাগুলো হেফাজতের জন্য ব্যাংকেই রাখতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে ইসলামী ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্টে রাখবেন, যেখানে কোনো সুদ দেওয়া হয় না। বরং মাসিক সার্বিস চার্জ কর্তন করা হয় অথবা সেভিংস একাউন্টে রাখবেন এবং সুদের অপশনটা বন্ধ করে দিবেন। তবে কোনো ভাবেই ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্টে রাখা জায়েজ হবে না।

৫. বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও কাগজ কলমে ইসলামী পদ্ধতিতে চলবে বলে লেখা থাকে তবে তারা সেভাবে চলে না। ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রায় সকল শাখাই কোনো না কোনো ভাবে সুদী কারবারের সাথে জড়িত। সুতরাং আমাদের জানা মতে একেবারে সুদ মুক্ত কোনো ব্যাংক বাংলাদেশে নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...