ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও কাগজ কলমে ইসলামী পদ্ধতিতে চলবে বলে
লেখা থাকে তবে তারা সেভাবে চলে না। ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রায় সকল শাখাই কোনো
না কোনো ভাবে সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা
বলেন-
واحل
الله البيع و حرم الربوا.
"আল্লাহ
ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)
■ সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-
عن
أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون
حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."
حكم
الحديث: صحيح
"হযরত আবু
হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে
নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়:
ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)
■ ইমাম আবু
হানিফা (রহ.) বলেছেন, নামাজের সময়
দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু
অবস্থায় থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে,
বসা অবস্থায়
থাকবে কোলের দিকে, সিজদা
অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসুত : ১/২৮)
পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরো
নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে। হানাফী-মাযহাবে এটাকে মুসতাহাব বলা হয়েছে। ফরজ-ওয়াজিব বলা হয় নি। সুতরাং এটি
আবশ্যকীয় কোনো বিধান নয়।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ,
গোলাম ফারুক নাম রাখা যাবে। এর অর্থ হলো: ( গোলাম = বান্দা;
ফারুক = হক-বাতিলের মাঝে
পার্থক্যকারী )
২. ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন: রুকু অবস্থায় দৃষ্টি থাকবে দুই পায়ের
মাঝখানে।
৩. সাহু সেজদার নিয়ম হলো, তাশাহুদ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরানোর পর দুই
সেজদা দিতে হয়। তারপর তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়ায়ে মাছুরা শেষ
করে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।
৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে টাকাগুলো হেফাজতের জন্য ব্যাংকেই
রাখতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে ইসলামী ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্টে
রাখবেন, যেখানে
কোনো সুদ দেওয়া হয় না। বরং মাসিক সার্বিস চার্জ কর্তন করা হয় অথবা সেভিংস একাউন্টে
রাখবেন এবং সুদের অপশনটা বন্ধ করে দিবেন। তবে কোনো ভাবেই ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্টে
রাখা জায়েজ হবে না।
৫. বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলো যদিও কাগজ কলমে ইসলামী পদ্ধতিতে চলবে বলে
লেখা থাকে তবে তারা সেভাবে চলে না। ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রায় সকল শাখাই কোনো
না কোনো ভাবে সুদী কারবারের সাথে জড়িত। সুতরাং আমাদের জানা মতে একেবারে সুদ মুক্ত
কোনো ব্যাংক বাংলাদেশে নেই।