আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১. আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া জরুরী না কি তখন মা অথবা স্বামী কেউ কোন কাজ দিলে বা উনারা ডাক দিলে সেটা পালন করা জরুরি?

২. মা, শ্বাশুড়ি কেউ পছন্দ করেনা ইলম অর্জন করা। তারা চান সবটুকু সময় উনাদের কে দিতে। কোনটা প্রাধান্য দিতে হবে?

৩. মা, শ্বাশুড়ি উনারা চান উনাদের পাশে বসতে, উনাদের সময় দিতে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই আলোচনা গীবত পর্যায়ে চলে যায়। তাই তাদের কাছ থেকে দূরে থাকা কি উচিত হবে?

৪. সন্তানের জন্য মায়ের দুয়া সাথে সাথে কবুল হয়। মায়ের সব দুয়া কি দুনিয়া তেই কবুল হয়?
৫. কেউ যদি সন্তানের পেছনে অনেক মেহনত করে কিন্তু সন্তান দ্বীন পালনে সচেষ্ট হয়না এতে করে কি ঐ মা কে কবরে শাস্তি পেতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1707 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং মাতাপিতা যদি সন্তানের খেদমতের মুহতাজ থাকে,এবং সন্তানের কাছে সহযোগিতার আবেদন করে,অন্যদিকে যদি সন্তান এমন কোনো নফল ইবাদতে ব্যস্ত হয়ে যায় যা মাতাপিতার খেদমতের অন্তরায় থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার খেদমতই অগ্রগণ্য হবে।সন্তানের জন্য নফল ইবাদতে লিপ্ত হওয়া জায়েয হবে না।কেননা এক্ষেত্রে মাতাপিতার খেদমতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ওয়াজিব।সুতরাং নফলের উপর ওয়াজিবকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তবে যদি মাতাপিতা সন্তানের খেদমতের মুহতাজ না থাকে,বা নফল ইবাদতে বাধা প্রদানের কোনো হাজত না থাকে কিংবা এতে মাতাপিতার কোনো ফায়দা না থাকে,এবং এ ব্যাপারে শরীয়তের কোনো আকার ইঙ্গিত না থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার উক্ত বিধিনিষেধের উপর নফল ইবাদতকে তারজিহ দেয়াই উত্তম হবে।সুতরাং মাতাপিতার আদেশকে না মেনে তখন নফল ইবাদতই উত্তম হবে।হ্যা অবশ্যই মাতাপিতার সাথে উত্তম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বুঝাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া মুস্তাহাব। কাজ যদি এমন হয় যে, এই আউয়াল ওয়াক্তে করা জরুরী নয়, তাহলে এমন সময়ে মাতাপিতার কথা না শুনে আপনার জন্য তখন আউওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া জরুরী। কোনো গোনাহ হবে না।হ্যা, মাতাপিতা বা স্বামীর বিশেষ কোনো প্রয়োজন হলে, যা এই সময়ে না হলে হয়তে ক্ষতি হতে পারে, তাহলে এমন কাজের বেলায়, নামাযকে পিছিয়ে পড়তে হবে।

(২)
তাদেরকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ে দিয়ে আপনি ইলম অর্জন করবেন।বিশেষত দ্বীনি ফরয ইলম হলে, তখন তাদেরকে সময় না দিয়েই আপনি প্রথমে দ্বীনি ইলম শিখবেন।

(৩)
জ্বী, এমন হলে দূরে থাকাই উচিৎ হবে।

(৪)
মায়ের সব দু'আ যে দুনিয়াতে কবুল হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নাই।বরং কিছু দু'আ আখেরাতের জন্যও অবশিষ্ট থাকতে পারে।

(৫)
মা সন্তানকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করার পরও যদি সন্তান দ্বীনের পথে না আসে, তাহলে এক্ষেত্রে মা কে কিয়ামতে জবাবদিহি করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...