ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1707 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং মাতাপিতা যদি সন্তানের খেদমতের মুহতাজ থাকে,এবং সন্তানের কাছে সহযোগিতার আবেদন করে,অন্যদিকে যদি সন্তান এমন কোনো নফল ইবাদতে ব্যস্ত হয়ে যায় যা মাতাপিতার খেদমতের অন্তরায় থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার খেদমতই অগ্রগণ্য হবে।সন্তানের জন্য নফল ইবাদতে লিপ্ত হওয়া জায়েয হবে না।কেননা এক্ষেত্রে মাতাপিতার খেদমতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ওয়াজিব।সুতরাং নফলের উপর ওয়াজিবকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তবে যদি মাতাপিতা সন্তানের খেদমতের মুহতাজ না থাকে,বা নফল ইবাদতে বাধা প্রদানের কোনো হাজত না থাকে কিংবা এতে মাতাপিতার কোনো ফায়দা না থাকে,এবং এ ব্যাপারে শরীয়তের কোনো আকার ইঙ্গিত না থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার উক্ত বিধিনিষেধের উপর নফল ইবাদতকে তারজিহ দেয়াই উত্তম হবে।সুতরাং মাতাপিতার আদেশকে না মেনে তখন নফল ইবাদতই উত্তম হবে।হ্যা অবশ্যই মাতাপিতার সাথে উত্তম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বুঝাতে হবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া মুস্তাহাব। কাজ যদি এমন হয় যে, এই আউয়াল ওয়াক্তে করা জরুরী নয়, তাহলে এমন সময়ে মাতাপিতার কথা না শুনে আপনার জন্য তখন আউওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া জরুরী। কোনো গোনাহ হবে না।হ্যা, মাতাপিতা বা স্বামীর বিশেষ কোনো প্রয়োজন হলে, যা এই সময়ে না হলে হয়তে ক্ষতি হতে পারে, তাহলে এমন কাজের বেলায়, নামাযকে পিছিয়ে পড়তে হবে।
(২)
তাদেরকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ে দিয়ে আপনি ইলম অর্জন করবেন।বিশেষত দ্বীনি ফরয ইলম হলে, তখন তাদেরকে সময় না দিয়েই আপনি প্রথমে দ্বীনি ইলম শিখবেন।
(৩)
জ্বী, এমন হলে দূরে থাকাই উচিৎ হবে।
(৪)
মায়ের সব দু'আ যে দুনিয়াতে কবুল হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নাই।বরং কিছু দু'আ আখেরাতের জন্যও অবশিষ্ট থাকতে পারে।
(৫)
মা সন্তানকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করার পরও যদি সন্তান দ্বীনের পথে না আসে, তাহলে এক্ষেত্রে মা কে কিয়ামতে জবাবদিহি করতে হবে না।