আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
edited by
১/ সাবান তো পিচ্ছিল পদার্থ।এটাতে নাপাকি লাগলে শুধু তিনবার সাবানের  উপর পানি ঢেলে দিলে কী সাবান পাক হবে।যদি নাপাকি হয় তরল জাতীয়।

২/ পানি নেওয়ার বদনা অনেকদিন পানি ব্যবহার করতে করতে বদনার ভিতরকার সাইডে একটা পাতলা আস্তরন পরে।যেটা হাত দিয়ে ঘষা দিলে উঠে যায়।এখন বদনার ভিতরে যদি কিছুটা তরল নাপাকি চলে যায় সেটাকে কীভাবে পাক করব

যদি বদনার পানি প্রথমে একবার ফেলে শুধু বদনার পুরো ভিতরে শুধু পানি তিনবার পৌছাই।আর কোনো ঘষা মাজা না করি তাহলে কী পাক হবে।নাকি ঐ বস্তু জাতীয় আস্তরন ঘষা দিয়ে উঠাতে হবে

৩/ বদনার উপরে ঐ আস্তরনটা কী নাপাক।পানি অনেকদিন এক পাত্রে ব্যবহার করলে হয়ত এটা হয়।

৪/ এটা মনে হয় আপনি ও জানেন আমাকে কী বলবেন যে ঐ আস্তরনটা কেন পরে।

৫/ বাসা বাড়ির দেওয়ালে নাপাক লাগলে কী শুকালেই হবে পবিত্র হওয়ার জন্য।দেওয়ালের কী শোষন ক্ষমতা আছে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাবানের উপর তিনবার পানি ঢেলে দেওয়ার পর সাবনের উপরে যদি দৃশ্যমান কোনো নাজাসত না থাকে, তাহলে উক্ত সাবান পবিত্র বলেই গণ্য হবে।

(২)
বদনার ভিতর তিনবার পানি পৌছিয়ে ধৌত করে নিলেই,বদনা পবিত্র হয়ে যাবে।

(৩)
নাপাক হলেও তাতে পানি দিয়ে ধৌত করে নিলেই বদনা পবিত্র হয়ে যাবে। ঘষিয়ে উক্ত আস্তরণ তুলে নেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)
অযৌক্তিক প্রশ্ন।এমন প্রশ্ন আর কখনো করবেন না।আমরা ফিকহ নিয়ে আলোচনা করি, বিজ্ঞান নিয়ে নয়।

(৫)
জ্বী, দেয়ালে শোষণ ক্ষমতা রয়েছে।দেয়াল শুকিয়ে গেলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।

আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী, সুতরাং আপনি কোনো বুজুর্গের শরণাপন্ন হন, এবং উনার সাথে কিছুদিন অতিবাহিত করুন।ইনশা'আল্লাহ ওয়াসওয়াসা চলে যাবে।
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...