জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে নাজায়েজ না হলে এবং তাহা শরীয়তের খেলাফ কিছু না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।
আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯
কর প্রদাণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করা নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাপকতায় শামিল রয়েছে।
{وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإثْمِ وَالْعُدْوَانِ}
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।
সূরা মায়েদা-০২
সেই হিসেবে পণ্য আমদানীর উপর সরকারী ট্যাক্স প্রদান করাই উচিত। তা ফাঁকি দেয়া বা ঘুষ দিয়ে আমদানী ঠিক নয়।
ট্যাক্স সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
কিন্তু কেহ যদি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য নিয়ে এসে দেশে এসে ব্যবসা করে, এ কারণে ব্যবসাকৃত টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
যদিও আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত পাইকারদের থেকে পন্য ক্রয় করা আপনার জন্য নাজায়েজ নয়।
এতে যদি তারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়,তারপরেও আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
এই গুনাহ তার উপরেই বর্তাবে।
,
কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
(০২)
যখন শুধুমাত্র মাকরুহ শব্দ কিতাবে উল্লেখ থাকে,তখন এদ্ধারা কি উদ্দেশ্য? মাকরুহে তাহরিমী না মাকরুহে তানযিহি? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
বিশুদ্ধতম কথা হল, মাকরুহ দ্বারা মাকরুহে তাহরিমী-ই উদ্দেশ্য।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) - (2 / 161):
"وأفاد في البحر صحة إطلاق الحرمة على المكروه تحريماً".
সারমর্মঃ
মাকরুহের উপর তাহরীমির ইতলাক ছহীহ।
আরো জানুনঃ
বিড়ি সিখারেট খাওয়া মাকরুহে তাহরিমি।
জর্দা খাওয়া মাকরুহ নয়।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে জর্দা মাকরুহে তাহরিমি।
,
(০৩)
উভয় ছুরতেই এটি তো নাজায়েজই বলা হয়েছে।
জায়েজ তো আর প্রমান হয়না।
এক্ষেত্রে কোনো মতবিরোধ নেই।
,
(০৪)
শুধু তাশাহুদ পড়বেন।
,
আপনার যেটি একেবারে শেষ বৈঠক, সেই বৈঠকে সব গুলো পড়বেন।