আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১) অযু/গোছলে ব্যাবহারিত পানি পাক কিন্তু পুনরায় তা দিতে ওযু/গোছল করা যায় না আপনাদের পূর্বের এক ফতোয়ায় দেখেছি। কিন্তু আমাদের বাথরুম ছোট।এখানে খুব সতর্কতার সাথে অজু বা গোসল করলেও একটু হলেও অজু/গোসলের পানি দুই এক ফোঁটা হলেও ছিটে বালতিতে পরে।তাহলে ওই বালতির পানি দিয়ে কি পুনরায় অজু বা গোসল করতে পারবো না? এছাড়া অন্য কোনো উপায় তো নাই
কল থেকে অজু করলেও বাথরুম ছোট হওয়ায় পানি দুই এক ফোটা হলেও ছিটে বালতিতে পরে। তাহলে কি ওই বালতির পানি দিয়ে আর অজু/গোসল শুদ্ধ হবে না?এতে তো অনেক কষ্টকর হয়ে যায় বারবার এত বড় বালতির পানি ফেলে দিলে অনেক পানি তো অপচয়ও হয়।

২) আমাদের এলাকার থেকে একটু দূরে একটা বাজার আছে। মাঝে মাঝে বাহিরে থাকলে সেখানের মসজিদে নামাজ পড়ি।ওই মসজিদে কল নাই।একটা বড় চৌবাচ্চা তে পানি থাকে। সেখান থেকে সবাই অজু করে। ওযু করলে পানি ছিটে ওই চৌবাচ্চাতেই পরে।তাহলে এত মানুষ অজু করলে সেখানের অজু শুদ্ধ হবে?

৩) থুতনির নিচের দিকে গলার শুরু পর্যন্ত যে অল্প দাড়ি আছে অযুরে কি তা ধুতে হবে?

৪) আসরের নামাজে ঠান্ডা লাগায় গলা একটু কাশি জমে ছিল।তাই সালাম ফিরানোর সময় ভর দিয়ে চেষ্টা করলেও আসসালামু অলাইকুম এর অলাইকুম এর আইনের উচ্চারন কিছুটা আলোফের মতো হয়।এতে কি লাগবে জলি হবে?

৫) মাগরিবে ঈমামের সাথে ১রাকাত নামাজ পাই। বাকি দুই রাকাআত যথানিয়মে আদায় করলেও শেষ রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ি অন্য সূরা মিলাতে ভুলে যাই। রুকুতে যাওয়ার পরে মনে পড়ে।পরে শেষে সাহু সিজদা দেই।নামাজ কি শুদ্ধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا - أَوْ يَغْتَسِلَ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنُبُ " . - صحيح

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জুনুবী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৬৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ নারীর ব্যবহৃত পানি দিয়ে উযু করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ৩৭০), হাকিম (১/১৫৯)। 

جاء في الفتاوي السراجية: ص 34 (ط. الاتحاد ) كتاب الطهارة : الماء المستعمل في الوضوء في رواية محمد عن أبي حنيفة رحمهما الله تعالى : طاهر ، و عليه الفتوى ، انتهى
وجاء في الامداد الفتاح : ص: 36 ( الاتحاد ) كتاب الطهارة : فإن اختلط رطلان من الماء المستعمل ، برطل من المطلق، لايجوز به الوضوء ، و بعكسه جاء . انتهى

যার সারমর্ম হলো
অযুর ব্যাবহারিত পানি পাক,এর উপরেই ফতোয়া।
যদি দুই রিতিল ব্যবহারিত পানির সাথে এক রিতিল সাধারণ পানি মিলে যায়,তাহলে সেই পানির দ্বারা অযু গোসল জায়েয হবেনা। 
অন্যথায় জায়েজ হবে।   

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বালতিতে ওজুর অব্যবহৃত পবিত্র পানির পরিমান যদি ওজুতে ব্যবহৃত পানির তুলনায় বেশি হয় , তাহলে সে পানি দিয়ে ওজু গোসল বৈধ হবে ।

আর যদি ব্যবহারিত পানিই বেশি হয়,তাহলে সেই বালতির পানি দিয়ে অযু গোসল বৈধ হবেনা।
,
★উক্ত বালতিতে ব্যবিহারিত পানির অল্প কিছু ছিটা আসার দ্বারা সেই বালতির পানি দিয়ে অযু গোসল করতে কোনো সমস্যা নেই।
সেই পানি ফেলে দিতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
চৌবাচ্চায় যে কয়েক ফোটা ছিটে পানি পড়ছে,তাহা চৌবাচ্চার পুরো পানির তুলনায় নিতান্তই অনেক কম।
তাই সেই চৌবাচ্চার পানি দিয়ে অযু করা জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
সকলের অযু শুদ্ধ। 
,
(০৩)
না,ধুতে হবেনা।
,
(০৪)
লাহনে জলি হবেনা।
এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।   
,
(০৫)
হ্যাঁ, নামাজ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...