জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نَکَحۡتُمُ الۡمُؤۡمِنٰتِ ثُمَّ طَلَّقۡتُمُوۡہُنَّ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ تَمَسُّوۡہُنَّ فَمَا لَکُمۡ عَلَیۡہِنَّ مِنۡ عِدَّۃٍ تَعۡتَدُّوۡنَہَا ۚ فَمَتِّعُوۡہُنَّ وَ سَرِّحُوۡہُنَّ سَرَاحًا جَمِیۡلًا ﴿۴۹﴾
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিয়ে করবে, তারপর তাদেরকে স্পর্শ করার আগে তালাক দিবে, তখন তোমাদের জন্য তাদের পালনীয় কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গুণবে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে কিছু সামগ্ৰী দেবে এবং সৌজন্যের সাথে তাদেরকে বিদায় করবে।
(সুরা আহযাব ৪৯)
★সুতরাং সহবাস/খালওয়াতে সহীহাহ এর আগে এক তালাক বায়েন পতিত হলে, ইদ্দত বলতে কিছু নেই।
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মূল মাসয়ালা জানার পূর্বে একটি বিষয় জেনে নেইঃ-
শরীয়তের বিধান হলো কেনায়া বাক্যে তালাক দেওয়া হলে ইদ্দতের মধ্যে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে আবার তালাক পতিত হবে।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে অথবা ইদ্দতের পর তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 306)
(الصريح يلحق الصريح و) يلحق (البائن) بشرط العدة (والبائن يلحق الصريح) الصريح ما لا يحتاج إلى نية بائنا كان الواقع به أو رجعيا فتح ۔۔۔ (لا) يلحق البائن (البائن)
সারমর্মঃ
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে ইদ্দতের মধ্যে স্পষ্ট এবং অস্পষ্ট অভয় প্রকারের বাক্য দ্বারাই তালাক দিলে তাহা পতিত হবে।
তবে কেনায়া বাক্যে তালাক দেওয়া হলে ইদ্দতের মধ্যে স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে আবার তালাক পতিত হবে।
অস্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবেনা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার যেহেতু ইদ্দতই নেই,তাই এক্ষেত্রে তাকে ৯০ দিনের মধ্যেই তালাক দিক,বা তার পর,কোনোভাবেই তালাক পতিত হবেনা।
হ্যাঁ তাকে আবার বিবাহ করার পর তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার উপর শুধু এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
তিন তালাক নয়।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত কথা বলার দ্বারা স্বামীর পুনরায় বিবাহের পর কোনো তালাক পতিত হবেনা।
কোনো সমস্যা হবেনা।
উক্ত স্বামী আরো দুই তালাকের মালিক থাকবে।